বাংলাদেশের বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ দেখে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চীনের ইউনান প্রদেশের উদ্যোক্তারা।
Published : 14 Nov 2019, 11:31 PM
বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তারা।
চীনের ইউনান প্রদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক ও ইউনানের প্রদেশিক পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান চেন হাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ ভবনে সংসদ নেতার কার্যালয়ে দেখা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি (চেন হাও) বলেছেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগের পরিবেশ থাকায় ইউনান প্রদেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে।”
ইউনান প্রাদেশিক সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে বাংলাদেশের ৭৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এই বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন চীনের নেতা।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে চেন হাও বলেন, দুই দেশ বর্তমানে চমৎকার সম্পর্ক উপভোগ করছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটনের বিকাশে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে।
চীন গৃহীত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)’ এবং বিসিআইএম ইকোনমিক করিডোরকে বাংলাদেশের সমর্থন দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে চেন হাও বলেন, বাংলাদেশের মতো ইউনান প্রদেশের অর্থনীতিও দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশের বন্ধু অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ আরও গুরুত্ব দিচ্ছে। যেন ভবিষ্যতে ব্যবসা ও পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়।
সরকারি পর্যায়ের সফর বিনিময়ের বাইরে দুই দেশের রাজনৈতিক দলের মধ্যেও সফর বিনিময়ের প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থার কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী দেশগুলো রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।