টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক অবকাঠামো বিস্তৃত ও সহজলভ্য করতে সরকার আরো ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) লাইসেন্স দিতে চায়।
Published : 06 Dec 2017, 07:43 PM
বুধবার ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ আয়োজনের প্রথম দিনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে ‘ব্রডব্যান্ড ফর অল’ শীর্ষক এক অধিবেশনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “সবার জন্য ব্রডব্যান্ড নিশ্চিত করতে ট্রান্সমিশনের জন্য দুটি বেসরকারি এনটিটিএন যথেষ্ট নয়। সরকার চিন্তা করছে আরো এনটিটিএন লাইসেন্স দিতে।”
বর্তমান ফাইবার অ্যাট হোম এবং সামিট কমিউনিকেশন এনটিটিএন সেবা দিচ্ছে। আর রেলওয়ে, বিটিসিএল ও পিজিসিবি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ সেবা দিচ্ছে।
আইন অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানগুলো ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপন করে নেটওয়ার্ক স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং এএনএসের (অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস) কাছে ভাড়া দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার দায়িত্ব এএনএস প্রতিষ্ঠানগুলোর।
বিটিআরসি প্রধান বলেন, “খুব ধ্রুত সব কিছু ডেটা নির্ভর হয়ে যাবে। সবার জন্য ব্রডব্যান্ড অবশ্যই প্রয়োজন। আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে ফোর-জি আসবে, এজন্য ২০ এমপিবিএস গতি নির্ধারণ করা হয়েছে।”
শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স ও নবায়ন ফি আরো সহজ করা হচ্ছে।
অধিবেশনের মূল প্রবন্ধে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, ব্রডব্যান্ড প্রসারে উচ্চহারে ট্রান্সমিশন খরচ ও অবৈধ আইএসপি সবার জন্য এ সেবা নিশ্চিত করার পথে একটি সমস্যা।
ব্রডব্যান্ড প্রসারে সরকারকে আরো বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান হাকিম।
উম্মুক্ত আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে এম এ হাকিম বলেন, বর্তমানে ঢাকা ভিত্তিক ব্রডব্যান্ড সেবা সীমাবন্ধ। ঢাকার বাইরে আউট সোর্সিং প্রসারে ব্রডব্যান্ড প্রয়োজন রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিশ্চিত করতে না পারলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয়ের উদ্দেশ্য নিশ্চত করা কঠিন হবে।
আইএসপিএবি সেক্রেটারি এমদাদুল হক বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেন সাড়ে চার হাজার অবৈধ আইএসপি সার্ভিস দিচ্ছে, এ অবৈধ আইএসপি রেখে কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে?
জবাবে বিটিআরসি প্রধান বলেন, “র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছে, কিন্তু তথ্য দেওয়া যায়নি। এসব তথ্য সরবরাহ করলে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।”
সৈয়দ আলমাস কবিরের সঞ্চালনায় সেশন প্যানেলে ফেইসবুক হেড অব ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রধান অশ্বিনী রায় উপস্থিত ছিলেন।