ব্যাংকাররা আমানতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ওপর থাকলে তা ‘ভালো’ হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
Published : 14 Jan 2025, 12:35 AM
জুলাই-অগাস্টের রাজনৈতিক ডামাডোল কাটিয়ে ব্যাংক খাতে আমানত বাড়তে থাকলেও এখনও তা ‘কাঙ্ক্ষিত’ পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, বিদায়ী ২০২৪ সালের নভেম্বরে ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ২০২৩ সালের নভেম্বরে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা।
২০২৪ সালের অক্টোবরে মাসে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল আমানতে।
অর্থাৎ টানা তিন মাস আমানতের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে হয়েছে। সরকার পতনের মাস অগাস্টে চরম নৈরাজ্যের মধ্যেও ব্যাংক আমানতে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকাররা আমানতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ওপর থাকলে তা ‘ভালো’ হিসেবে মূল্যায়ন করেন। জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের আগে সবশেষ ১০ শতাংশের কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে; ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ।
তবে এর দুই মাস পর ডিসেম্বরেই তা বেড়ে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ হয়, যা ছিল ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কোভিড মহামারির সময় সুদহার কমে গেলেও আমানতের প্রবৃদ্ধির হার ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে পৌঁছেছিল।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড (এমটিবি) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমেছে। এই খাত নিয়ে একরকম আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। তাতে অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। তবে সামনে আমানত প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে আমি মনে করি।”
তিনি বলেন, “উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মাস শেষে মানুষের হাতে টাকা থাকছে না। সংসারের সব খরচ মেটানোর পর যা বাকি থাকে, সেটাই ব্যাংকে আমানত রাখে।”
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।