উপদেষ্টা বলেন, খামারিদের বিদ্যুৎ বিলে কৃষির মতো ২০ শতাংশ ভর্তুকি দিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
Published : 27 Nov 2024, 05:49 PM
সরবরাহ ঠিক রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খামারি পর্যায় থেকে সরাসরি বাজারে ডিম আনা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২০২৪ সালের মুরগি (সোনালী ও ব্রয়লার) ও ডিমের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে।
ডিমের দাম নিয়ে অস্থিরতার কারণ ব্যখ্যায় তিনি বলেন, “অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন্যার প্রভাবে ডিম সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। একই সাথে কৃষি ফসলও নষ্ট হবার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম ছিল। ফলে ডিমের চাহিদাও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। তাই ডিমের দাম নিয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগে মুনাফা লাভের জন্য ডিমের সরবরাহে হস্তক্ষেপ করে।”
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার যথেষ্ট অভিযান চালিয়েছে এবং দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে দাবি করে ফরিদা বলেন, “প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে খামারি পর্যায় থেকে সরাসরি বাজারে ডিম আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিপণনের মাধ্যমে ভর্তুকির মাধ্যমে সীমিতভাবে ঢাকা শহরে ১১০ টাকা ডজন হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।”
“বর্তমানে খামারি পর্যায়ে ১৩৩-১৩৪ টাকা, করপোরেট পর্যায়ে ১২৭ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ১৩২ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ডিমের মূল্য ১৪০-১৪২ টাকা ডজন। এই দাম আরো কমতে পারে যদি উৎপাদন খরচ বিশেষ করে ফিড, একদিনের বাচ্চা এবং বিদ্যুতের দাম কমানো যায়।”
এছাড়া, একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা সংক্রান্ত প্রণীত কৌশলপত্র অনুযায়ী উৎপাদন, সরবরাহ এবং বিক্রয় মূল্য ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (বিএবি) যথাযথভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, খামারিদের বিদ্যুৎ বিলে কৃষির মতো ২০ শতাংশ ভর্তুকি দিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “চুক্তিবদ্ধ খামারিদের সাথে প্রান্তিক খামারিদের হাঁস-মুরগি পালন ও লভ্যাংশের প্রতিযোগিতার পার্থক্যকে কীভাবে কমিয়ে আনা যায় তার একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে খামারিদের সম্পৃক্ত করে ফিডের মূল্য, একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।"
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।