ঢাকায় বসছে ৩ দিনের পর্যটন মেলা

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে দ্বাদশ বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার-বিটিটিএফ।

মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তিন দিনের এ আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে আয়োজক সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-টোয়াব।

সংগঠনের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) আনোয়ার হোসেন বলেন, “এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং এফবিসিসিআই।

“ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার, হসপিটাল প্রদর্শক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে।”

আনোয়ার হোসেন জানান, মেলায় তিনটি হলে ১২টি প্যাভিলিয়নসহ ১৪৬টি স্টল থাকবে। থাকবে বিটুবি সেশন, সেমিনার ও গোলটেবিল আলোচনা। দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক আয়োজন, প্রদর্শিত হবে দেশের পর্যটন নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র।

টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, “পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়ন এ মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। আমরা আশা করছি যে, এবারের পর্যটন মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।

“এই মেলা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা; তবে ছাত্র-ছাত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রবেশ উন্মুক্ত থাকবে।

অন্যদের মধ্যে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার মহাব্যবস্থাপক অশ্বিনী নায়ার, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকার বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের পরিচালক ফারিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী, রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক শাহিদ হামিদ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।