ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ আরও নয় মাস অব্যাহত রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাজারে সয়াবিনসহ অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে গত ছয় মাস ধরে চলে আসা ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের সুবিধা ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বহাল রাখার অনুরোধ চিঠিতে করা হয়েছে।
শিগগির এ বিষয়ে এনবিআরের ‘ইতিবাচক’ নির্দেশনা আসবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম আলী আহাদ খান।
চিঠিটি সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ের ১০ শতাংশ শুল্ক মওকুফ ও উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে সব ভ্যাট অব্যাহতির যে সুযোগ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে তা বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের জুন পর্যন্ত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম বিদেশ থাকায় এখন কোনও সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না।
আগামী মঙ্গলবার এনবিআর চেয়ারম্যান অফিস করবেন। তখন সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
গত মার্চে দেশে ভোজ্যতেলের দাম চড়তে থাকলে সরকার আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে ১০ শতাংশ মওকুফ করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। পরে এর মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে।
নতুন করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আগের মওকুফ সুবিধা উঠে গেলে গত শনিবার থেকে ভ্যাট আগের জায়গায় ফিরে যায়।
আরও নয় মাস ভ্যাট অব্যাহতির বিষয়ে কারণ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত অপরিশোধিত পাম তেলের মূল্য কিছুটা হ্রাস পেলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যটির মূল্য আনুপাতিক হারে কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
“তাই স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য এবং সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির বর্তমান মেয়াদ ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত পুনরায় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।“
বর্তমানে বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯২ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে।