“আমাদের মধ্যে একটি আবেগঘন সংযোগ রয়েছে। আমরা তা কাজে লাগাতে পারি। ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে”, বলেন তিনি।
Published : 20 Jan 2025, 12:01 AM
আর্জেন্টিনাকে ঘিরে ফুটবল সম্পর্কের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এ আহ্বান জানান তিনি।
পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের সাক্ষাতের বিষয় তুলে ধরা হয়।
আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশি ভক্তদের গভীর সমর্থনের কথা তুলে ধরে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমাদের মধ্যে একটি আবেগঘন সংযোগ রয়েছে। আমরা তা কাজে লাগাতে পারি। ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে। এই সম্পর্ককে অন্যান্য খাতে সম্প্রসারণ করা সম্ভব।”
তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের সঙ্গে তুলাভিত্তিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব মালিকানায় বা যৌথ উদ্যোগে প্রকল্প তৈরির সুযোগ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রেও সম্ভাবনা অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত মার্সেলো বলেন, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে এখনও অনেক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র অনাবিষ্কৃত রয়েছে, যা উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
তিনি বাংলাদেশকে বুয়েনস আয়ারসে দূতাবাস খোলার বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানান। বলেন, “আমাদের মধ্যে থাকা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উভয় দেশের কল্যাণে কাজে লাগানো উচিত।“
রাষ্ট্রদূত জানান, বর্তমানে আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক লেনদেনের পাল্লা তার দেশের পক্ষে, যেটির পরিমাণ প্রায় ৭০ কোটি ডলার। তারা বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে এ ভারসাম্য কমাতে চায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্জেন্টিনা বর্তমানে বাংলাদেশে সয়াবিন, গম, ভুট্টা, ও কাঁচা তুলা রপ্তানি করে এবং বাংলাদেশ থেকে ২ কোটি ২০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে।
রাষ্ট্রদূত তুলা, যৌথ বিনিয়োগ, ওষুধ, টেক্সটাইল, ফুটবল (নারী ফুটবলসহ), ক্ষুদ্রঋণ, বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল, এলএনজি এবং ধানের রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন।
রাষ্ট্রদূত জোরপূর্বক অন্তর্ধান রোধে আন্তর্জাতিক কনভেনশন ’ফর দ্য প্রোটেকশন অব অল পার্সন ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ (আইসিপিপিইডি) স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন, যা আর্জেন্টিনা সক্রিয়ভাবে গ্রহণের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
তিনি আর্জেন্টিনায় ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় এসডিজিবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।