“টাকা না দিলে ধরে নেব, প্রিমিয়ার ব্যাংক রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে।”
Published : 27 Mar 2025, 05:26 PM
শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে প্রণোদনার টাকায় ‘ঋণ সমন্বয়’ করার অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংকের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডিকে বলছি, আপনি টাকাটা রিলিজ করুন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রণোদনার টাকা দেওয়া হয়েছে। উনাদের লোন অ্যাডজাস্ট করার কোনো প্রভিশন নেই।
“এতদিন লোন দিয়েছেন, তখন মনে ছিল না। এখন এটা শ্রমিকের টাকা। যদি না দেন, তাহলে আপনিও আছেন, আমিও আছি, যদি বেঁচে থাকি। ব্যাংক, ব্র্যাঞ্চ ও এমডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এখনই দেখব, কী অ্যাকশন নেওয়া যায়।”
ঈদের আগে টিএনজেড গ্রুপের অ্যাপারেল ইকো নামে একটি কারখানার শ্রমিকের বেতন দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রণোদনার টাকা ছাড়করণের ব্যবস্থা করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টা বলেন, “প্রিমিয়ার ব্যাংক যদি টাকা না দেয়, তাহলে ধরে নেব, তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে, সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে।”
ঈদের আগে শ্রমিকের বেতন দিতে পারছে না- এমন পাঁচটি কারখানার সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এখন আর কেউ নেই যে, বেতন দিচ্ছে না। সবাই বেতন দিয়েছে।
“যারা বেতন না দেওয়ার কারণে বিদেশে গমনে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। তারা বেতন দিয়েছেন মর্মে প্রমাণ দিলে বিদেশে যেতে পারবেন। এই ঈদ অন্যান্য ঈদের চেয়ে অনেক ভালো।”
উপদেষ্টা বলেন, “রোয়ার ফ্যাশন নামে একটি কারখানার মালিক পলাতক। পলাতক থাকা অবস্থায় শ্রমিকরা কাজ করেছেন। এখন বেতন দেওয়ার লোক নেই। সেজন্য আমাদের তরফে বন্দোবস্ত করে দিয়েছি একটা কমিটি গঠনের মাধ্যমে।”
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শেখরের মালিকানাধীন রোয়ার ফ্যাশনকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলের আপদকালীন হিসাব থেকে এক কোটি ২৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, “রোয়ার গ্রুপের মালিক সাইফুজ্জামান শেখর পলাতক। তার কারখানা ময়মনসিংহের ভালুকায়। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে হবে।”
টিএনজেড নামের একটি কারখানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এর মালিক অসুস্থ। মালিকপক্ষ গাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকের বেতন দিচ্ছেন। এটা মনে হয় বাংলাদেশে প্রথম।”
উপদেষ্টা বলেন , মাহমুদ গ্রুপের দুটি কারখানার শ্রমিকের বেতন বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১১ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। স্টাইলক্রাফট ও ইয়াং ওয়ান লিমিটেডের বিষয়ে একটা মিটিং হয়েছে; মীমাংসা হয়েছে।