এর মাধ্যমে কোনো ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক বিস্তারিত নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে বলে বিশেষ এ বিধানে তুলে ধরা হয়েছে।
Published : 22 Dec 2024, 11:45 PM
দেশের ব্যাংকগুলোর ‘ঝুকিপূর্ণ’ নিরীক্ষার জন্য এখন থেকে চাইলে বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ বিধান প্রণয়ন করেছে, যা এখন থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আইন অনুযায়ী এসব বিধান তৈরি করা হয়েছে, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পেশাল রেগুলেশনস অব বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪’। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তা অনুমোদন করা হয়েছে।
নিরীক্ষা কাজের জন্য ব্যাংকগুলো যেন আন্তর্জাতিক পরামর্শক কোম্পানিকে তাদের গ্রাহকদের বিষয়ে তথ্য জানাতে পারে, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ এ বিধানের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে সাধারণ অনুমতি দিয়েছে।
এ বিধান প্রণয়নের কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থাকার পরও দেশের ব্যাংকিং খাত নানা ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সম্পদের মান, করপোরেট সুশাসন, নীতিমালা এবং আইন ও বিধিবিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এতে ব্যাংক খাত নিয়ে সাধারণভাবে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে। পুরো খাতের বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা ক্ষতির মুখে পড়েছে।
বিশেষ এ বিধান অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোতে বিদেশি পরামর্শক কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা সমন্বয় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেবে। পরামর্শক কোম্পানি ব্যাংকে নিরীক্ষা করার পর প্রতিবেদন জমা দেবে গভর্নরের কাছে। এরপর গভর্নর ওই প্রতিবেদন পরিচালনা পর্ষদের কাছে উপস্থাপন করবেন।
নতুন এ বিধান অনুযায়ী নিরীক্ষার জন্য নির্বাচিত আন্তর্জাতিক পরামর্শক কোম্পানিকে কত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে এবং তা কোন পদ্ধতিতে পরিশোধ করা হবে তা চুক্তিতে তুলে ধরতে হবে।
এছাড়া নিরীক্ষার শর্তাবলির নিয়মও চুক্তিতে নির্ধারণ করা থাকতে হবে বলে বিশেষ এ বিধানে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকার ও আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিদেশি আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা কোম্পানির মাধ্যমে ব্যাংকের নিরীক্ষার বিষয়টি ব্যাংক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি ব্যাংক কোম্পানি আইন ও ব্যাংকিং নীতিমালা উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ বিধানে সমন্বিত নিরীক্ষার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “এর মাধ্যমে ঝুঁকিভিত্তিক বিস্তারিত নিরীক্ষা করা হবে, যার মধ্যে থাকবে সম্পদের মান পর্যালোচনা, করপোরেট সুশাসন পরিস্থিতি পর্যালোচনা। ব্যাংকের নীতি, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া এবং আইন ও নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিবিধান পরিপালন বিষয়েও পর্যালোচনা থাকবে।”