তার বিরুদ্ধে ওঠা ‘অনিয়মের’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এমডি।
Published : 27 Nov 2024, 01:33 AM
পুনরায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসাবে নিয়োগ দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এক দশক থেকে বিদেশি খাতের ব্যাংকটিতে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সম্প্রতি তার মেয়াদ নবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করা হলে সেটির অনুমোদন মেলেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি (শফিক বিন আবদুল্লাহ) মেয়াদ শেষ করেছেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে এমডি হিসেবে পুনর্নিয়োগ দেয়নি।”
মোহাম্মদ শফিক ২০১৪ সালে এমডি হিসেবে আইসিবিতে যোগ দেন। সেই থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সম্প্রতি তার সবশেষ মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পুনর্নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়।
মোহাম্মদ শফিকের বিরুদ্ধে নানা ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির’ অভিযোগ খবরে এসেছে। এর প্রেক্ষিতেই তার পুনর্নিয়োগ আটকে দিয়ে অভিযোগের বিষয়ে বিশদ তদন্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যাংকটি নিয়ে তদন্ত নেমে এমডি মোহাম্মদ শফিকের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সন্ধান পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সে বিষয়গুলো আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে তুলে ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাকে আবার এমডির দায়িত্ব না দেওয়ার কথা বলেছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দেয়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মোহাম্মদ শফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আমার চাকরি করছি। আমি আজকেও অফিসের কাজ করেছি। যেহেতু আমার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হয়নি। ব্যাংকটিতে আমি ১১ বছর ধরে কাজ করছি।
“বাংলাদেশ ব্যাংক অভিযোগ করছে আমি টাকা পাচার করেছি। আমি কোথায় টাকা পাচার করেছি? আমি যে টাকা পাচার করেছি সেটার প্রমাণ তো দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের নিরীক্ষায় তো এটা নেই।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়নি এবং ব্যাখা চায়নি দাবি করে তিনি বলেন, “গত ১১ বছর ধরে তারা তো আইসিবি নিয়ে কোনো ত্রুটি খুঁজে পায়নি।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের করা তদন্ত প্রতিবেদন তিনি গ্রহণ করেননি। ভুল কিছু করেননি বলেও দাবি তার।
শফিক বলেন, কোনো রকম তথ্য ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এই রকম অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।