মাইক্রোবাস, হাইব্রিড কারের দাম কমতে পারে

দুর্ঘটনা রোধে নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক কমতে পারে।

এছাড়া হাইব্রিড কার ও জ্বালানিসাশ্রয়ী মটরসাইকেলের (মোপেড) দাম কমার আভাসও রয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।

বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “নসিমন, লেগুনার মতো দুর্ঘটনাপ্রবণ যানবাহন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে বিকল্প গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাস ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করছি।

“পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্কহারের পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’

এছাড়া নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ডাম্পার/টিপার ট্রাক সংযোজনকারী শিল্পের সুরক্ষায় সিকেডি (সম্পূর্ণ বিয়োজিত) অবস্থায় ডাম্পার বা টিপার আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী ও সংযোজনকারী শিল্পের জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনে নতুন কয়েকটি কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত করে পশ্চাদ সংযোগ শিল্পের (ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি) প্রসারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “মোপেড একটি জ্বালানিসাশ্রয়ী মটরসাইকেল। এটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিধায় সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মোপেড এর শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করছি।”

বাজেট প্রস্তাবে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূণ্য শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৮০১ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে।

২০০১ থেকে বেশি সিসির মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।

মোপেড ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন এবং ডাম্পার বা টিপার অসংযোজিতভাবে আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

এছাড়া মোপেড ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন অসংযোজিতভাবে আমদানিতে বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব রয়েছে।