সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনের কারণে বিদায়ী অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ দেড় হাজার কোটি টাকা থাকলেও আগামী অর্থবছরে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
Published : 05 Jun 2014, 08:54 PM
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের যে বাজেট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রস্তাব করেছেন, তাতে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ৯ খাতে ৭২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ইসির বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫৪৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। তার আগে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ৩৪৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ৩৩৫ কোটি ১ লাখ ৮৯ হাজার বরাদ্দ ছিল ইসির।
ভোটারদের হাতে উন্নতমানের পরিচয়পত্র দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে ইসির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এ বছর স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনা, নিজস্ব ভবন নির্মাণ করবে নির্বাচন কমিশন।
এবার ইসির জন্যে প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন খাতে ২১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৫১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে ইসির উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে- ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম, ডাটাবেজ সংরক্ষণে কিছু সার্ভার স্টেশন ভবন নির্মাণ, ইসি ভবন ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবন নির্মাণ, উন্নত মানের (স্মার্ট) জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই অব্যাহত রাখা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
স্মার্ট কার্ড বিতরণ ও ইসি ভবন নির্মাণে বড় ব্যয় বরাদ্দ থাকছে এবার।
নির্বাচনী ব্যয়ের বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, নতুন অর্থবছরে শুধু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট হবে। এছাড়া স্থানীয় সরকারের কিছু উপনির্বাচনও এসময় হবে।