Published : 19 Mar 2018, 02:53 PM
প্রতি বছরের মত এবারও শুরু হতে যাচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ 'রামকৃষ্ণ মিশনে' বার্ষিক উৎসব। প্রতি বছরই শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথির পরপর বার্ষিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। গত ৪ ফাল্গুন ১৪২৪ বাং (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং) শনিবার, শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৩তম জন্মতিথি শেষ হয়েছে। বার্ষিক উৎসবটি উদযাপিত হবে, আগামি ৫ চৈত্র বাং(২০ মার্চ) মঙ্গলবার থেকে। শেষ হবে ৮ চৈত্র বাং( ২৩ মার্চ) শুক্রবার পর্যন্ত।
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেব ও বেলুর মঠ।
এবার শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথির আয়োজনে ছিল, আবির্ভাব তিথিপূজা, আলোচনা সভা, ধর্মগ্রন্থ পাঠ, ভজন সংগীত, পুষ্পাঞ্জলি, আরাত্রিক, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও হোম। সবশেষে ছিল, প্রসাদ বিতরণ।
বার্ষিক উৎসবের আয়োজনে থাকবে, রামায়ণ গান, চলচিত্র প্রদর্শনী সহ আরও অনেককিছু। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে দেখানো হয়, শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনী। এই তিনদিনের উৎসবের অনুষ্ঠানসূচীতে যা থাকছে তা আমি নিন্মে লিখে জানাচ্ছি। তার আগে আমি রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন নিয়ে কিছু তথ্য জানানোর ইচ্ছা পোষণ করছি। গতবছরও নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের বার্ষিক উৎসব নিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। এবারও সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। কারণ আমিও শ্রীরামকৃষ্ণ পরমংসদেবের নাম নেওয়া একজন নগণ্য শিষ্য, তাই ।
'রামকৃষ্ণ মিশন' এর কিছু তথ্য।
বিভিন্ন তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, রামকৃষ্ণ মিশন হলো বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন। এই সংগঠনটি হলো, রামকৃষ্ণ আন্দোলন বা বেদান্ত আন্দোলন নামক বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। এটি একটি জনকল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ১৮৯৭ সালের ১ মে রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য, স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। মিশনের কর্মপরিকল্পনায় থাকে, স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণকার্য, গ্রামোন্নয়ন, আদিবাসী কল্যাণ, বুনিয়াদি ও উচ্চশিক্ষা এবং সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এটি শতাধিক সংঘবদ্ধ সন্ন্যাসী ও সহস্রাধিক গৃহস্থ শিষ্যের একটি যৌথ উদ্যোগ। রামকৃষ্ণ মিশন কর্মযোগের ভিত্তিতে কাজকর্ম চালানো হয়।
রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান কার্যালয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার নিকটবর্তী হাওড়া শহরে বেলুর মঠে অবস্থিত। এই সংগঠন প্রাচীন হিন্দু দর্শন বেদান্তের অনুগামী। এটি সন্ন্যাসী সংগঠন রামকৃষ্ণ মঠ কর্তৃক অনুমোদিত। রামকৃষ্ণ মঠের সদস্যরা রামকৃষ্ণ মিশনেরও সদস্য।
আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রামকৃষ্ণ মিশনের বিশেষত্ব হলো, সামাজিক দর্শন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি। এর সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয় আধ্যাত্মসেবা ও পূজাজ্ঞানে। কারণ, শ্রীরামকৃষ্ণের মতে মানুষে দয়া নয়, মানুষে ঈশ্বরের প্রকাশ জেনে মানবজাতির সেবায় ব্রতী হওয়াই মানুষের ধর্ম। রামকৃষ্ণ মিশনের সেবার আদর্শ হলো, 'জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।।' তাই বাংলাদেশের যেসব স্থানে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম আছে, সেসব মিশন আশ্রমে মানুষের মঙ্গলের জন্য নানারকম কল্যাণকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
একনজরে বাংলাদেশে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমের শাখাগুলো:
একেক সময় বাংলাদেশের বিভাগীয় শরগুলোতে রামকৃষ্ণ মিশনের শাখাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে। যা ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বেলুড় মঠের স্বীকৃতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ অঞ্চলে এটি আধ্যাত্মচর্চা এবং সমাজসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
বাংলাদেশের অন্য জেলাগুলোর কেন্দ্রগুলি হচ্ছে:
বরিশাল ১৯০৪, নারায়ণগঞ্জ ১৯০৯, মানিকগঞ্জের বালিয়াটি ১৯১০, সিলেট ১৯১৬, ফরিদপুর ১৯২১, হবিগঞ্জ ১৯২১, ময়মনসিংহ ১৯২২, দিনাজপুর ১৯২৩, ও বাগেরহাট ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে। এসব শাখা কেন্দ্রে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন ছাড়াও কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা, ত্রাণ, পুর্নবাসন প্রভৃতি কাজও পরিচালনা করা হয়।
যা থাকছে এবার রামকৃষ্ণ মিশনের বার্ষিক উৎসবের অনুষ্ঠানসূচীতে:
৫ চৈত্র ১৪২৪ বাং (২০ মার্চ ২০১৮ ইং) মঙ্গলবার
দুপুর ১.০০ মি. রামায়ণ গান, পরিচালনায়– শ্রী নিমাই দাস ও তাঁর দল
বিকাল ৪.০০মি. শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
বিকাল ৫.০০ মি. আলোচনা সভা
বিষয়: বিবেকানন্দ এবং যুব-জাগরণ
সভাপতি: শ্রীমৎ স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী মহারাজ (অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা)
প্রধান অতিথি: মাননীয় বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা)
বিশেষ অতিথি: শ্রীমৎ স্বামী স্থিরাত্মানন্দজী মহারাজ (অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, চাঁদপুর)
শ্রী অশোক কুমার দত্ত (অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নারায়ণগঞ্জ)
শ্রীমৎ স্বামী সুরবরানন্দজী মহারাজ (সম্পাদক, রামকৃষ্ণ মিশন, ফরিদপুর)
ইঞ্জিনিয়ার আশুতোষ রায় (চীফ স্টাফ অফিসার, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা)
রাত ৮.০০মি. নাটক- 'চিরন্তনী কুমারী পূজা' পরিচালনায়- স্বামী বিবেকানন্দ যুব সংঘ, নারায়ণগঞ্জ
রচনায়- শ্রী তারাপদ আচার্য
৬ চৈত্র ১৪২৪ বাং (২১ মার্চ ২০১৮ ইং) বুধবার
দুপুর ১.০০মি. রামায়ণগান, পরিচালনায়- ঐ
বিকাল ৪.০০মি. শিশুদের কবিতা আবৃতি ও সংগীত
বিকাল ৪.৩০ মি. নাটক- 'শ্রীমা সারদা'
পরিবেশনায়- সারদা সংঘ, নারায়ণগঞ্জ
সন্ধ্যা ৭.০০ মি. আলোচনা সভা
বিষয়: 'সকলের মা সারদা'
সভাপতি: শ্রীমৎ স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী মহারাজ (অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা)
প্রধান অতিথি: জনাব হাসানুল হক ইনু এম.পি (মাননীয় মন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)
বিশেষ অতিথি: জনাব এ.কে.এম সেলিম ওসমান, এম.পি (মাননীয় সংসদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-৫)
জনাব রাব্বি মিয়া (মাননীয় জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ)
জনাব মঈনুল হোসেন (মাননীয় পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ)
শ্রীমৎ স্বামী স্থিরাত্মানন্দজী মহারাজ (অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, চাঁদপুর)
শ্রীমতী সন্ধ্যা সাহা (সভানেত্রী, সারদা সংঘ, ঢাকা)
শ্রীমতী কাজল হাওলাদার (সহ-সভানেত্রী, সারাদা সংঘ, নারায়ণগঞ্জ)
রাত ৮.০০ মি. সঙ্গীতানুষ্ঠান
পরিচালনায়- প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শ্রী কিরণ চন্দ্র রায়, শ্রীমতী চন্দনা মজুনদার, মৌটুসি, প্রিয়াংকা পোপ ও অন্যান্য।
৭ চৈত্র ১৪২৪ বাং (২২মার্চ ২০১৮ ইং) বৃহস্পতিবার
দুপুর ১.০০মি: রামায়ণগান, পরিচালনায়- ঐ
বিকাল ৫.০০ মি : আলোচনা সভা
বিষয়: দর্শন চিন্তায় শ্রীরামকৃষ্ণ
সভাপতি: শ্রীমৎ স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী মহারাজ (অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা)
প্রধান অতিথি: জনাব আনোয়ার হোসেন (চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ)
বিশেষ অতিথি: শ্রী গোপাল চন্দ্র দাস (উপ-সচিব,প্রাথমিক ও গণ- শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)
শ্রীমৎ স্বামী স্থিরাত্মানন্দজী মহারাজ (অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, চাঁদপুর)
সন্ধ্যা ৭.০০ মি. গীতি আলেখ্য- সাধক রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
রচনায়- শ্রীমতী ডলি বণিক
রাত ৮.০০ মি. নাটক- 'গন্তব্য বিবেকানন্দ'
পরিবেশনায়- স্বামী বিবেকানন্দ যুব সংঘ, নারায়ণগঞ্জ
পরিচালনায়- শ্রী শুভাশিস দত্ত তন্ময়
৮ চৈত্র ১৪২৪ বাং (২৩মার্চ ২০১৮ ইং) শুক্রবার
সকাল ৮.০০মি: ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেবের বিশেষ পূজা,ভজন সংগীত, পুষ্পাঞ্জলি, হোম
সকাল ৯.০০ মি. রামায়ণগান-পরিচালনায়- ঐ
দুপুর ২.০০ মি. নর নারায়ণ সেবা (প্রসাদ বিতরণ)
বিকাল ৪.০০ মি. শিশুদের বিচিত্রানুষ্ঠান
বিকাল ৫.০০ মি. আলোচনা সভা
বিষয়: শ্রীরামকৃষ্ণের ধর্ম চিন্তা ও সাধনা
সভাপতি: শ্রীমৎ স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী মহারাজ (অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা)
প্রধান অতিথি: জনাব এ.কে.এম শামীম ওসমান (মাননীয় সংসদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-৪)
বিশেষ অতিথি: শ্রী তারাপদ আচার্য (সাধারণ সম্পাদক, সাধু নাগ মহাশয় আশ্রম, নারায়ণগঞ্জ)
শ্রী প্রবীর কুমার সাহা (পরিচালক, এফ.বি.সি.সি.আই)
রাত ৮.০০ মি. সঙ্গীতানুষ্ঠান
পরিবেশনায়- প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শ্রী রবীন্দ্র নাথ রায়, সুবীর নন্দী,দেবলীনা সুর ও অন্যান্য।
নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়ার সন্নিকটে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। ছবি: নিতাই বাবু।
নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমটিতে যা আছে।
অনেক বড় জায়গা জুড়ে সুউচ্চ প্রাচীর ঘেরা রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। ভেতরে আছে, সুবিশাল লাইব্রেরি ও ফটোশপ। সেই লাইব্রেরিতে থাকে হিন্দু ধর্মের সবধরনের ধর্মীয় গ্রন্থ, নানাধরনের বই পুস্তক। থাকে বিভিন্ন দেবদেবীদের বাঁধাই করা ফটো। ভেতরে পূজামণ্ডপ, হলরুম, বৈঠকখানা, অফিস, দোতলা অনাথ আশ্রম(আশ্রমে অসহায়দের আশ্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে), ভক্তদের জন্য সুবিশাল খাবার ঘর, রান্নাঘর, দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র (যেখান থেকে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ছাড়া নামমাত্র মূল্যে প্রতিদিন মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়)।
আগমন উপলক্ষ্যে:
শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসব উপলক্ষ্যে রামকৃষ্ণ মিশনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বহু ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে। এমনকি, ভারত থেকেও অনেক শিষ্য, ভক্তগণ এই মহা উৎসবে আসে। উৎসব আরম্ভ হওয়ার আগে থেকেই মিশনের আশেপাশে বসে মেলা।
আর এ উৎসবকে সামনে রেখেই জেলার তাঁত, হস্ত, মৃৎশিল্পী আর মিষ্টির কারিগররা পার করছেন ব্যস্ত সময়। এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ মাটির তৈরি খেলনাসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র। মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও তৈজসপত্রের মধ্যে থাকে, পুতুল, ব্যাংক, আম, কাঁঠাল, হরিণ, ঘোড়া, হাতি, মাছ, ময়ূর, সিংহ-সহ হরেক রকম খেলনা।আরও থাকে নানারকম প্রসাধনী ও প্লাস্টিকের খেলনা। থাকে মুড়িমুড়কিসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান। (উৎসব চলাকালীন সময়ে রামকৃষ্ণ মিশনেও প্রতিদিন দুপুরে সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা থাকে)। সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এই লোকজ মেলা।
পরিশেষে:
নারায়ণগঞ্জের এই রামকৃষ্ণ মিশনটি চাষাঢ়া হতে প্রায় ৫০০ গজ পূর্ব দিকে অবস্থিত। এখানে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে প্রতিবছর দুর্গাপূজার সাথে কুমারী পূজাও হয়ে থাকে। মিশনপাড়া মহল্লাটি কোনো একসময় এই রামকৃষ্ণ মিশনের নামেই নামকরণ হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমটি বহু পুরানো। তা দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের শিষ্য, ভক্তগণ সবাই জানে। তবু আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আবারও নতুন করে দেশবাসীকে পরিচয় করিয়ে দিলাম। আশা করি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের অনেক শিষ্যই নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে আসবে। সবার শুভ আগমনে উৎসব আরও আনন্দময় ও মমুখরিত হয়ে উঠবে আশা করি। দূরদূরন্ত থেকে আসা শিষ্য ও ভক্তগণদের জন্য মিশনে থাকা-খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা আছে।
জয় গুরু জয় গুরু।