তাসকিন এবং সানির বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণার নেপথ্যে ভারতীয় কূট-কৌশলই সামনে চলে এসেছে। নানা কারণে এসব অভিযোগ মনগড়া ভেবে উড়িয়েও দিতে পারছি না। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উঠতি সময়ে মোড়লদের নানা ষড়যন্ত্রের অদৃশ্য তৎপরতা এসব অভিযোগকে তুঙ্গে দেয়।
ক্ষোভ-বিক্ষোভ আমাদের সাধারণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। একজন ক্ষুব্ধ দর্শকের মতো বিসিবি আচরণ করতে পারে না। কারণ, নির্দিষ্ট আইনগত পথের মধ্যে থেকেই বিষয়গুলো মোকাবেলা করতে হয়। নইলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশংকা থাকে। বিসিবি যেহেতু আইসিসির নীতিমালা মেনেই খেলছে, সেখানে করার কিছু নেই। যদিও হাটে-মাঠে-ঘাটে নানা বয়সী মানুষ বলছেন, ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে বাইরে রেখে বাকি দলগুলোই একটি শক্তিশালী কাউন্সিল গঠন করতে পারে।
আইডিয়াটি মন্দ নয়। কিন্তু এই দায়িত্ব কেউই নেবে না। বাইরের দলগুলোর কথা পরে আসুক। বিসিবি-ই তাতে সম্মত হবে কি না সংশয় আছে।
এসব দূর কল্পনা। এখন ভাবনা একটাই- মুখোশ খুলে যাক। দু'দিক থেকেই। একদিকে বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারী এবং অন্যদিকে রিজার্ভ লোপাটে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা- এই দু'দিকের চক্রান্তকারীদের মুখোশটা খুলে যাক। ওদের চেহারা দেখতে চাই। আর ঘৃণার থুথু ছিটাতে চাই ষড়যন্ত্রকারীদের কপালে।
লেখক : সাংবাদিক, [email protected]