Published : 11 Mar 2016, 07:17 AM
'ভুল যদি হয় মধুর এমন; হোক না ভুল, হোক না ভুল
ভুলের রঙে রাঙলো যে মন; হোক না ভুল, হোক না ভুল'
খবরটা জবর লাগলো। এরপর সুকান্ত কুমার সাহা'র ফলোআপটা পড়লাম। চমৎকার লাগলো। শ্রীলঙ্কার ব্যাংক কর্মকর্তাগণ ভালোই বানান পারেন। কিন্তু বানান ভুলের এতো ফযিলত, সেটা আগে কজন জানতো? তবে "৮ কোটি ডলার ফিলিপিন্সে সরাতে পেরেছিল হ্যাকাররা"–এটা জেনে কেবলই খারাপ লাগা শুরু হতে যাচ্ছিলো। তখনই হঠাৎ মাথার মধ্যে এই গান দুটি বেজে উঠেলো। একবার শ্রীকান্ত আচার্য্য,আরেকবার বশীর আহমেদ। একটা শেষ হয়, আরেকটা শুরু হয়। এইভাবে লুপিং করে বেজে চলছে। গানের কনটেক্সট্ যেনো নতুন রূপে সাজুগুজু করে ধরা দিয়েছে। মনোপণ্ডিতগণ যাকে 'সং ইন হ্যাড সিন্ড্রোম' বলেন তার সাথে এটার মিল নেই কারণ সং ইন হ্যাড সিন্ড্রোম-এ এরকম দুই গান বাজে না মাথায়।
আসলে এটা আনন্দের কারণে হচ্ছে। মারা টাকার খোঁজ মিলেছে–এটা কী কম আনন্দের নাকি? সেই টাকা পাওয়া হবে না হাওয়া হবে সেটা বড়ো কথা নয়। বড়ো কথা হলো আনন্দ-বিনোদন। আর আমাদের বিনোদনের চাহিদা পূরণে সরকার যে যথেষ্ট আন্তরিক–সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাছাড়া, চমকপ্রদ, টাটকা, সব দেশী খবর খেয়ে খেয়ে আমদেরও রুচি বেড়েছে বেশ। এই রুচিতে নতুন মাত্রা যোগ করলো লুটের এই খবর। একদম ভরমন খবর। তাই খুশিতে মাথার মধ্যে গান আসে। আমি তো আর অহেতুক নিন্দুক নই যে, গানের পরিবর্তে রেশমা কাহিনীর কথা মাথায় আসবে।
প্রস্তাবঃ শিক্ষিত বেকারদেরকে হ্যাকার করে গড়ে তুলতে চৈনিক সরকারের সাথে আলোচনা পূর্বক দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। দেশে প্রচুর হকার, মেকার, চেকার, সাকার, লিকার-ফিকার আছে; হ্যাকার বড়োই কম।