ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক নাসিম আনোয়ারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তা গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
Published : 28 Aug 2022, 10:15 PM
অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে গ্রেপ্তার পি কে হালদারের সহযোগী আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএলএফএসএল এর সাবেক পরিচালক নাসিম আনোয়ারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।
মামলায় তার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগও আনা হয়েছে বলে জানান কমিশনের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১ এ সংস্থার সহকারী পরিচালক তাপস কান্তি বালা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) এই সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে এক কোটি ১৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তা গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, নাসিম আনোয়ার গত বছরের ১২ অগাস্ট দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। এতে ৫ কোটি ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৩ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পরে দুদক এ সম্পদ বিবরণী যাচাই ও অনুসন্ধান করে তার প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার সম্পদের উৎস খুঁজে পায়নি। মামলায় বলা হয়, “এই সম্পত্তি তার ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদ বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।”
মামলায় নাসিম আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
পি কে হালদার নামে পরিচিত প্রশান্ত কুমার হালদার বেসরকারি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার দুর্নীতির খবর আসে ২০২০ সালের শুরুতে। দুদক তদন্তে নেমে তার এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৪টি মামলা করেছে।
পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।
এ চার কোম্পানি হল- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
এসব কোম্পানি থেকে পি কে হালদার ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।
গত বছরের শুরুতে পি কে হালদার বিদেশ পালানোর পর দুদক তার ২৭৫ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদের’ খবর দিয়ে মামলা করে। দুদক এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে।
পি কে হালদার কানাডায় পালিয়েছিলেন বলে গুঞ্জন ছড়ালেও গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা থেকে পাঁচ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন। তিনি বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি।
আরও খবর -
পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি মামলা
পি কে হালদারের গ্রেপ্তার দুই সহযোগী পিপলস লিজিংয়ের পরিচালকের মেয়ে