পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি মামলা

‘কাগুজে’ প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2022, 12:00 PM
Updated : 19 May 2022, 12:00 PM

বৃহস্পতিবার দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, সংস্থার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত এ মামলা করেন।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে এর আগে ৩৪টি মামলা হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের করা নতুন মামলাটি নিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫।

মামলায় পি কে হালদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও ‘কাগুজে প্রতিষ্ঠান’ দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে নিয়ে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

পি কে হালদার ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিব প্রসাদ ব্যানার্জি, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জি, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার ও এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।

পি কে হালদার নামে-বেনামে পিপলস লিজিংসহ নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পালিয়ে যান বলে ২০২০ সালের শুরুতে খবর আসে। এরপর দুদক তদন্তে নেমে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করে। এর মধ্যে একটিতে আদালতে অভিযোগপত্রও দাখিল হয়।

২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে পি কে হালদার পুঁজিবাজার থেকে বিভিন্ন নামে শেয়ার কিনে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) মালিকানায় এসেছিলেন।

এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।

পি কে হালদার কানাডায় পালিয়েছিলেন বলে গুঞ্জন ছড়ালেও শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিনিসহ তার সহযোগীদের সম্পদের খোঁজে অভিযান শুরু হলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।

এর একদিন বাদেই গত শনিবার ফেরারী আসামি পি কে হালদারসহ ছয়জনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আটক করে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

বর্তমানে পি কে হালদার ইডি হেফাজতে আছেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: