“সংসদীয় গণতন্ত্র সমুন্নত ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে মিডিয়ার বহুমাত্রিক ভূমিকা রয়েছে”, বলেন তিনি।
Published : 08 Feb 2024, 08:59 PM
অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বে বাংলাদেশ কোনো অংশে পিছিয়ে নেই বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের সংস্কার করা মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, “সারা বিশ্ব অবাধ তথ্য প্রবাহের সময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।”
গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতার জন্য মিডিয়া সেন্টারকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা সংসদের চিফ হুইপ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
শিরীন শারমিন বলেন, “পার্লামেন্ট বিটের সাংবাদিকরা বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা করে সংসদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সংবিধানের মূলনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুণ্ন রেখে গণমাধ্যম জনমত গঠনে একটি কার্যকরী মাধ্যম।
“সংসদীয় গণতন্ত্র সমুন্নত ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে মিডিয়ার বহুমাত্রিক ভূমিকা রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, “সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সংসদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।”
চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, “সংসদীয় কমিটি বৈঠক শেষ হওয়ার পর সদস্যরা যেন মিডিয়া সেন্টারে এসে ব্রিফিং করেন, সেটি নিশ্চিত করতে মিডিয়াকর্মীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।”
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, “২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর জাতীয় সংসদে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে এবং বিরোধী দলের গঠনমূলক আলোচনার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে।”
হুইপ সাইমুম সারওয়ার কমল, নজরুল ইসলাম বাবু ও মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নাসিম খান, বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন আল রশীদ, সহসভাপতি মশিউর রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরান রেজা চৌধুরীও এ সময় বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগ ও অধিশাখার প্রধান, পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিকরা, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।