বিএনপি নিয়ে তারবার্তা ভিত্তিহীন: মির্জা ফখরুল

উইকিলিকসের বরাত দিয়ে প্রচারিত মার্কিন তারবার্তাগুলো দেশকে রাজনীতিশূন্য এবং বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করে বিএনপি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2011, 06:46 AM
Updated : 12 Sept 2011, 06:46 AM
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- উইকিলিকসের বরাত দিয়ে প্রচারিত মার্কিন তারবার্তাগুলো দেশকে রাজনীতিশূন্য এবং বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করে বিএনপি।
দলটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার প্রশাসনের সঙ্গে বিএনপির নিবিড় সর্ম্পককে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এটি একটি অপকৌশল মাত্র।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার এক বিবৃতিতে ওই তারবার্তাগুলোর 'বাস্তব ভিত্তি' নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি ও সাবেক শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গীতা পাসির কেবলের নামে প্রচারিত বার্তাগুলো দেশকে রাজনীতিশূন্য করার বড় ষড়যন্ত্রের একটি অংশ মাত্র।
"কেবল দেশবাসীর কাছে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করাই নয়, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার একটি অপকৌশল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।"
স¤প্রতি উইকিলিকসের ফাঁস করা এক তারবার্তায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ব্যর্থতা ছিল তার দুর্নীতিবাজ বড় ছেলে তারেক রহমানকে বাঁচানো, মার্কিন এক কূটনৈতিক তারবার্তায় বলা হয়েছে একথা।
২০০৫ সালের শুরুর দিকে ঢাকায় তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাসকে এ কথা বলেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী।
তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে উইকিলিকসের প্রকাশিত তারবার্তা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে বলেন, "গীতা পাসির বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত বার্তাটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।"
তিন পৃষ্ঠার বিবৃতিতে তিনি বলেন, "কয়েকটি বার্তায় যে সময়ের কথা বলা হয়েছে তা জেমস এফ মরিয়ার্টির কার্যভার গ্রহণের অনেক আগে। মরিয়ার্টি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যোগ দেন ২০০৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে।"
"২০০৭ সালের জরুরি অবস্থা জারি সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ছিলেন প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস। ২০০৭ সালের গ্রীষ্মে মরিয়ার্টি ইরাকের ডেপুটি হেড অব মিশন পদে যোগদানের প্রায় একবছর পর ঢাকায় আসেন।"
মির্জা ফখরুল বলেন, "তাই ওই সময়ে মরিয়ার্টি ঢাকায় কখনো আসেননি। সেই সময়ে তার বরাত দিয়ে নানান বানোয়াট কাহিনী তিনি (মরয়ার্টি) তারবার্তায় পাঠিয়েছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।"
তারবার্তাটি সত্যি মরিয়ার্টির হলে, তার [মরিয়ার্টির] বার্তার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও তার তৎকালীন প্রধান কর্মকর্তার ভাষা ও বিষয়বস্তুর মিল রয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
তিনি বলেন, "জানুয়ারি ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ পৃষ্ঠপোষকতায় ফখরুদ্দীন আহমেদের অন্তবর্তীকালীন প্রশাসনের সময়ে কুখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানটি [দুদক] তৎপর ছিলো।
"যদি রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি এই ধরনের বার্তা পাঠিয়ে থাকেন, তা তিনি দুনীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদন অনুলিপি পাঠিয়েছেন।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/পিডি/১৮৩৯ ঘ.