দাম বেশি নিলে দুই বছরের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
Published : 14 Dec 2023, 08:18 PM
চোখের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কৃত্রিম লেন্সের দাম ঠিক করে দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এ মূল্য তালিকা সব হাসপাতালের নোটিস বোর্ডে প্রদর্শন করার নির্দেশনা দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, কেউ তালিকার চেয়ে বেশি দামে লেন্স বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ওই দিন থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ১২৯ পদের লেন্সের দাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ১৪৩ টাকা দামের লেন্স যেমন আছে, তেমনই সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকার লেন্সও রয়েছে। এসব লেন্স ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, বেলজিয়াম, স্পেন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, বার্বাডোজ, হাঙ্গেরি ও গ্রিসের তৈরি।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এবং আইন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশে একসঙ্গে ১২৯টি লেন্সের দাম ঠিক করে দেওয়ার বিষয়টি এই প্রথম। এর আগে ২০২০ সালে ৫-৬টি লেন্সের দাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল।
“ চোখের লেন্সের দাম নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ আছে। একেকজনের কাছ থেকে একেক ধরনের দাম নেওয়া হয়। প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দাম নেওয়া হয়। মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ায় কিছু লেন্সের দাম কমেছে।”
লেন্স নিয়ে বাজারে ‘মনোপলি’ থাকার কথা উল্লেখ করে নুরুল আলম বলেন, “ যেহেতু কোনো মূল্য নির্ধারণ করা ছিল না। ফলে ৫০০ টাকার লেন্স ৫০০০ টাকা নিয়েছে- আমাদের কাছে এমন অভিযোগ আছে।
“তারা যা বলত তাই, কারণ ক্রেতা তো তাকে জিজ্ঞেস করতে পারছিল না যে আসল দাম কত।”
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ আইন কর্মকর্তা বলেন, দাম ঠিক করে দেওয়ায় সেটি নোটিস বোর্ডে টানিয়ে রাখতে হবে।
“সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ যদি দাম দাবি করে বা নেয়, নতুন ওষুধ ও কসমেটিকস আইন অনুযায়ী তাকে দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। আমরা এটা মনিটর করব। দেখব তারা ঠিক দামে বিক্রি করছে কি না। কোনো অনিয়ম পেলে প্রয়োজনে ওই দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।”