“আন্দোলনের নামে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।”
Published : 30 Oct 2023, 07:35 PM
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধে সারাদেশে পণ্যবাহী গাড়ি ও বাস চালানোর ঘোষণা দিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবহন মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সেই সঙ্গে যেসব গাড়ি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়েছে।
সোমবার সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিকদের যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সংগঠনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত শনিবার ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর সমাবেশ শেষ করে দিয়ে রোববার হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে বেশ কিছু বাসে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়।
হরতাল শেষে মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার টানা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দেয় দলটি। এরপর জামায়াতও একই কর্মসূচি ডাকে।
পরিবহন মালিক সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিএনপি-জামায়াত সমাবেশ ও হরতাল কর্মসূচির নামে দলীয় সন্ত্রাসীরা ঢাকাসহ সারাদেশে ১৩টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করেছে এবং শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এছাড়া ঢাকায় অছিম পরিবহনের গাড়িতে থাকা নাঈম নামে একজন শ্রমিককেও পুড়িয়ে হত্যা করেছে।”
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, “আন্দোলনের নামে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে জরুরিভাবে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানান সমিতির নেতারা।
“সেই সঙ্গে, অবরোধের দিনগুলোতে সড়কে গাড়ি চলাচল যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য রাজধানীসহ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেন সমিতি নেতারা।”
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালেও বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধে ব্যাপকভাবে গাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। শত শত গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলেও বাস ও ট্রাক চলাচল অব্যাহত থাকে।
২০১৫ সালে একসঙ্গে হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচি ভেঙে পড়ার আট বছর পর আবার একই ধরনের কর্মসূচিতে গেল বিরোধী দলগুলো। তারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির অন্যান্যরা।