বিচারক আগামী ৩ মার্চ যুক্তিতর্কের শুনানির দিন রেখেছেন।
Published : 11 Feb 2024, 03:39 PM
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি সানজিদুল হাসান ইমন এবং আশিষ রায় চৌধুরী আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদের আদালতে বক্তব্য দেন।
পরে বিচারক আগামী ৩ মার্চ যুক্তিতর্কের শুনানির জন্য তারিখ রাখেন।
আসামি সানজিদুল তার বক্তব্যে বলেছেন তার বাবা-মা দু্জনই প্রখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন। তার মা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ছিলেন।
নিজেকে ভালো এবং শিক্ষিত পরিবারের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
আরেক আসামি আশিষ রায় চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ঘটনার সময় তিনি থাইল্যান্ডে ছিলেন। তিনি বিদেশে থাকার সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এর আগে এই দুইজনসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের দেওয়া বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠ করে শুনোনো হয়। আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে মাত্র ১০ জনের সাক্ষ্য নেয়া গেছে।
গত ২৪ জানুয়ারি এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন রেখেছিলেন একই বিচারক।
মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিনই তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।
এই অভিনেতা খুন হওয়ার পর চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এরপর ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০৩ সালে ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়।
কিন্তু আসামিদের মধ্যে তারিক সাঈদ মামুনের পক্ষে হাই কোর্টে মামলাটি বাতিল চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত একটি রুল দেয়; সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ আসে।
এরপর দীর্ঘদিন মামলাটির নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি সবার নজরে আসে। তারপর বিচারিক আদালতে পুনরায় বিচার শুরু হয়।
১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে নামের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছিলেন সোহেল চৌধুরী। একই প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন পারভিন সুলতানা দিতিও। পরে এই তারকা দম্পতি বিয়ে করেন।
আরও পড়ুন...