এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে দেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২৫ জন নতুন রোগী।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে। আগের দিন রোববার মারা যান দুইজন। এর আগে এবছর একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচজনের মৃত্যু হয় ৬ সেপ্টেম্বর। আর ১২ সেপ্টেম্বর একদিনে চারজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৫ জন নতুন ভর্তি রোগীসহ এবছর এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের দুজন ঢাকায় এবং একজন কক্সবাজার জেলায়। আর সারাদেশে এ পর্যন্ত যে ৬১ জন এইডিস মশাবাহী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৯ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগের নরসিংদী জেলায়। চট্টগ্রাম বিভাগে ২৬ জন এবং বরিশাল বিভাগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীর মধ্যে ৩৫২ জন ঢাকার শহরের এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭৩ জন রোগী। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরের বাইরে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬০ জন, চট্গ্রাম বিভাগের। এই বিভাগের কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, খুলনা বিভাগে ৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৮ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন, বরিশাল বিভাগে ২৩ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ১৪৪ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ৫৯৮ জন। অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৫৪৬ জন।
বর্ষাকাল এলেই ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এইডিস মশার উৎপাত বাড়ে। এ সময় এই মশার দংশনে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি ৯ হাজার ৯১১ জন সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অক্টোবরের প্রথম তিনদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭২৮ জন।
এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬১ জনের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয় সেপ্টেম্বরে। এছাড়া জুনে একজন, জুলাইয়ে ৯ জন, অগাস্টে ১১ জন এবং অক্টোবরের প্রথম তিনদিনে মৃত্যু হয় ৬ জনের।
আরও পড়ুন: