২০১৫ সালের এক সকালে দোকানের ভেতর কিশোর আইয়ুব শিকদারের লাশ পাওয়া যায়।
Published : 11 Jun 2023, 09:37 PM
আট বছর আগে সাভারে একটি দোকানে চুরি করতে গিয়ে কিশোর কর্মচারীকে হত্যার দায়ে আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আসামি আজিমউদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।
এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিমল সমাদ্দার জানান, রায়ের সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। রায় ঘোষণার আগে তাকে উৎফুল্ল দেখা গেলেও রায় শুনে তিনি কাঁদতে থাকেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাভারের জোড়পুল তেঁতুলঝোড়ায় শুভ টেলিকম নামের একটি দোকানে কাজ করত আইয়ুব শিকদার নামের ১৪ বছরের এক কিশোর। প্রতিদিন কাজ শেষে ওই দোকানেই সে ঘুমাতো।
২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর সকালে লোকজন জিনিসপত্র কিনতে এসে দোকান বন্ধ পায়। ডাকাডাকি করেও তারা কোনো সাড়া পাননি। পরে দেখা যায়, দোকানের শাটার খোলা। দোকানের ভেতরে আইয়ুবের লাশ পড়ে আছে।
খবর পেয়ে আইয়ুবের বোন মোছা. সোনিয়া আক্তার সেখানে যান। ভাইয়ের শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তিনি। পরে দোকান মালিক বাবুল দোকানে এসে দেখতে পান, তার দোকান থেকে ৭৪ হাজার টাকার মালামাল চুরি গেছে।
ওই দিনই আইয়ুবের বোন সোনিয়া সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আজিমউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, চুরিতে বাধা দেওয়ায় আইয়ুবকে হত্যা করে সে।
মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক রোববার আজিমউদ্দীনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন।