নাশকতার একটি মামলায় রোববার হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ দুলুকে জামিন দেয়।
Published : 04 Dec 2023, 06:59 PM
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত।
সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
চেম্বার আদালতে দুলুর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
একটি নাশকতার মামলায় গত রোববার হাই কোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ দুলুকে জামিন দেয়। পরে তার এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ঢাকার বাড্ডা থানায় করা মামলায় গত ১৮ অক্টোবর দুলুকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগের রাতে দুলু এবং আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ; পরদিন তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে।
ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের এসআই রিপন মিয়া দুলুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন এবং বাকি ১১ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম আলী হায়দার দুলুর জামিন আবেদন নাকচ এবং বাকি ১১ জনকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
ওই ১১ জন হলেন- ভোলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, মাকছুদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, আবির ইসলাম সাত্তার, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে মামুন, শিমুল মিয়া, সোহেল, মোস্তাক হোসেন মুন্না, আব্দুল মান্নান শেখ বাবু ও শাহীনুর রহমান।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ১৭ অক্টোবর বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় বাড্ডা থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফুট রাস্তার মাথায় গ্রিন টাওয়ারের নিচতলায় কিছু লোক ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য’ সমবেত হয়েছে খবর পায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছানো মাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে।
“ওই ঘটনায় এসআই মানিক কুমার সিকদার গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া এএসআই আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ অন্যান্য অফিসারদের কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করা হয়েছে।
“আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনাস্থলে তারা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সমবেত হয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে দেশে অরাজকতার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করাসহ সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক লোক তারা ঢাকায় সমবেত করে।”
তবে বিএনপি দাবি করেছিল, ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুলুকে তার গুলশানের বাসা থেকে ‘তুলে’ মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন
নাশকতার মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা দুলু