তার মানে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধে ঝুঁকি বাড়ছে।
Published : 15 Jan 2024, 04:59 PM
অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচ রেটিংস বাংলাদেশের আইডিআর সূচক ‘নেতিবাচক’ করেছে; আগে যা ছিল ‘স্থিতিশীল’। তবে এক বছর আগের দেওয়া রেটিং ‘বিবি মাইনাস’ বহাল রেখেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রেটিং প্রতিষ্ঠানটি আইডিআর (লং টার্ম ফরেন কারেন্সি ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং) সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ‘স্থিতিশীল’ বলে জানিয়েছিল।
রোববার বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তিনটি ঋণমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের একটি ফিচ রেটিংস বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে। নিজেদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা এ বিষয়ক ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানটি ঋণমান সূচক নেগেটিভ (নেতিবাচক) বা অবনতি হওয়ার কারণও তুলে ধরেছে।
আইডিআর আউটলুক নেতিবাচক হওয়ার অর্থ হল- ঋণমান নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠান ফিচ মনে করছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধে ঝুঁকি বাড়ছে। তবে অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশের এখনও ঋণ শোধ করার সক্ষমতা রয়েছে। যদিও তীব্র ডলার সংকটের মধ্যে রিজার্ভ কমে যাওয়া ঠেকাতে বিনিময় হার ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং বিদেশি ঋণদাতাদের অব্যাহত সহায়তার মধ্যে নেওয়া বিভিন্ন সরকারি নীতি ও পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে ফিচ।
এর মধ্যেও আগের ঋণমান বহাল রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতার প্রোফাইল, অনুকূলে থাকা ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় সরকারের ঋণ তুলনামূলক কম।
রেটিং নেতিবাচক করার পেছনের কারণ হিসেবে সংকটের মধ্যে ঝুঁকিতে পড়া, বিদেশি মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী বিনিময় হার বাড়তে থাকা, বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ, বিদেশি ঋণ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা, রাজস্ব আদায়ে কম প্রবৃদ্ধি, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সরকারি ঋণের পরিমাণ কম থাকা, উচ্চ হারের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের দুর্বলাত এবং অন্যান্য কাঠামোগত দুর্বল সূচকগুলোর কথা উল্লখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক ঋণমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি) ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ঋণমান কমে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল। এর কারণ হিসেবে ২০২৪ সালে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার ঝুঁকি এবং বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ চাপে থাকার কথা বলেছিল।
এসঅ্যান্ডপির আগে ৩০ মে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডি’স ঋণমান আগের বিএ৩ থেকে কমিয়ে বি১ করে।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)