আগামী ২০ অগাস্ট আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
Published : 07 Aug 2023, 12:12 AM
জামিন পাওয়া আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এছাড়া হাই কোর্ট থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি এবং তাদের স্বজনদের নির্যাতন ও ৭২ লাখ টাকার চেক আদায়ের অভিযোগের ঘটনায় শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনও আদালত গ্রহণ করেনি।
মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ অগাস্ট দিন রাখা হয়েছে। ওইদিন মুখ্য বিচারিক হাকিমকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
শরীয়তপুরের দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও বিচারককে হাই কোর্টে তলব
৭২ লাখ টাকার চেক লিখে নেওয়ার অভিযোগে ওসি প্রত্যাহার
দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৭২ লাখ টাকার চেক লিখে নেওয়ার অভিযোগ
শুনানির শুরুতে আদালত বিচারিক হাকিমের প্রতিবেদন এসেছে কি না জানতে চান।
এসময় দুই পুলিশ কর্মকর্তার নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন করা হলে আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন গ্রহণের সুযোগ নেই।
আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মিয়া। পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
গত ২৩ মে দ্রুত বিচার আইনে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়। মামলায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা আহম্মেদ চোকদারকান্দি এলাকার সাদ্দাম চোকদার, বকুল চোকদারসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ২৯ মে সাদ্দাম, বকুল, সাইদুল উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে নেন।
অভিযোগ করা হয়, জামিনে আসার পর ৩০ মে রাতে তারা এ মামলার আরেক আসামি আনোয়ারকে নিয়ে ঢাকা কেরানীগঞ্জ সাদ্দামের বন্ধু আলমগীর চোকদারের বাসায় যান। ওই রাতে খবর পেয়ে সেই বাসায় এএসপি রাসেল মনির ও ওসি মোস্তাফিজুর রহমানসহ ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য হাজির হন। পরদিন থানায় নিয়ে এসে আসামিদের বাবার কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকার চেক লিখে নেওয়া হয় এবং নওডোবা বাজারে দুটি দোকান লিখে দিতে বলা হয়।
এরপর ১ জুন তাদের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সেখান থেকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর তা আদালতের নজরে আনা হয়। এরপর দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও মুখ্য বিচারিক হাকিমকে হাই কোর্ট তলব করে। পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শক ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।