একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাত স্মরণে লাল-কালোয় রক্ত ও শোকের নানা প্রতীক গায়ে মেখে 'লালযাত্রা' করেছে নাট্য সংগঠন প্রাচ্যনাট।
শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর থেকে ফুলার রোডের স্মৃতি চিরন্তন চত্বর পর্যন্ত হাতে হাত মিলিয়ে- কণ্ঠে দেশের গান তুলে এ আয়োজনে অংশ নেন নাট্যকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শহীদদের স্মরণে এ যাত্রা শেষে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সব শহীদের প্রতি সম্মানার্থে প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের লালযাত্রা।
সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কালরাতের ঘণ্টা কয়েক আগের এ যাত্রায় দীর্ঘ এক কালো পাড়ের লাল শাড়ি নিয়ে হেঁটে গেছেন নাট্যকর্মীরা, যার সম্মুখভাগে ছিলেন একজন 'মা'। এবার 'মা' চরিত্র রূপায়ন করেছেন রুবাইয়া মনজুর টিপ।
২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর লালযাত্রার আয়োজন করছে প্রাচ্যনাট। করোনাভাইরাস মহামারীকালে দুই বছর আয়োজনটি সশরীরে করতে না পারলেও ভার্চুয়ালি করেছিলেন নাট্যকর্মীরা৷
লালযাত্রা’র মূল পরিকল্পনা জলগানের শিল্পী রাহুল আনন্দের। এ আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের জন্য যারা জীবন দিলেন, রক্ত দিলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে যারা দেশের জন্য জীবন দিলেন, রক্ত দিলেন- সব শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এই লালযাত্রা।
রুবাইয়া মনজুর টিপ বলেন, শুধু প্রাচ্যনাট নয়, থিয়েটারকর্মীদের মধ্যে যারা সমাজের নানা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেন, তারাও মায়ের ভূমিকায় আসতে পারেন৷
"মায়ের যাত্রার মাধ্যমে শুধু যে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সন্তানদের স্মরণ করছি তা নয়, এখনকার সময়ে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে সমাজে, শিল্প- সংস্কৃতির জায়গা থেকে সরে গিয়ে একাকীত্বের জায়গায় চলে আসছি। এখানে মায়ের ভূমিকা হচ্ছে সবাইকে আশ্রয় দিয়ে, নিজের ছায়াতলে নিয়ে এসে একটা নতুন বোধের উন্মেষে নতুন সময়ের জন্ম দেওয়া।"