পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় এখন তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
Published : 06 Apr 2024, 10:39 PM
তাপপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় থার্মোমিটারের পারদ উঠেছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ।
শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ ডিগ্রি এবং রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবীরা। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
ঈদে যারা বাড়ির পথ ধরেছেন, যানবাহনের ভেতরে তাদেরও গরমের কষ্ট সইতে হচ্ছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় এখন তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, রাঙ্গামাটি জেলা, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের বাকি অংশ, রংপুর এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, দেশের আর কোথাও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে; সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এই সময়ে কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তবে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকবে, ফলে অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হতে পারে।
গত বছর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ১৯৯৫ এবং ২০০২ সালেও সমান তাপমাত্রা উঠেছিল, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, দেশে আবহাওয়ার রেকর্ড রাখা শুরুর পর এটাই সর্বোচ্চ।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি এপ্রিল মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে, সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে।
সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে এ মাসটিতে প্রকৃতি ‘পরীক্ষা নেবে মানুষের’।
পুরনো খবর: