এ উপ-নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
Published : 06 Nov 2022, 06:30 PM
শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় ফরিদপুর-২ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটের হার কম হয়েছে বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
এই উপ-নির্বাচনের পরদিন রোববার ঢাকায় নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কারণ দেখান তিনি।
শনিবার অনুষ্ঠিত ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়ে।
আলমগীর বলেন, “যেহেতু সাধারণ নির্বাচনের আর অল্প সময় আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোটাররা মনে করেন যে এখানে তো সরকারের কোনো পরিবরর্তন হবে না। আর যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনিও কাজ করার তেমন একটা সময় পাবেন না। তাই ভোটারদের আগ্রহ কম। প্রার্থীদেরও তেমন আগ্রহ নেই।”
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এই কমিশনার বলেন, “সেখানে কিন্তু ভোটের হার অনেক বেশি। পৌরসভাতে ভোটের হার অনেক বেশি। কারণ সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সেখানে পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ। যেখানে মেয়াদ বেশি থাকে, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে।
“এটিই আমরা মনে করি। হয়ত গবেষণা করলে সঠিকটা বোঝা যাবে।”
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য এই আসনে উপ-নির্বাচনে তার ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী জয়ী হন ৬৮ হাজার ভোট পেয়ে। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া পান ১৪ হাজার ৮৭৮ ভোট।
তবে ভোটের হার দিয়ে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা পরিমাপ করা যায় না বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।
তিনি বলেন, “কত শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন গ্রহণযোগ হবে, এই ধরনের কোনো শর্ত নেই। তাই ভোট যদি শান্তিপূর্ণ হয়, নিয়ম মত হয় এবং কোনো অনিয়ম না হয়- সমস্ত নিয়মকানুন যদি ফলো করে, তাহলে অবশ্যই তো গ্রহণযোগ্য ভোট বলতে হবে।”
কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে এটি সংসদের দ্বিতীয় উপ-নির্বাচন হলো। এর আগে ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা উপ নির্বাচন অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দেয় ইসি।