তার সহকারী কিশোর সাকিবের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
Published : 03 Apr 2024, 12:43 AM
সাভারের হেমায়েতপুরে তেলের লরি উল্টে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ট্রাক চালক হেলাল হাওলাদার মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
সেখানকার আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম জানান, হেলালের শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল।
পুলিশ বলছে, এদিন তেলবাহী একটি ট্যাংকার গাবতলী থেকে সাভারে যাওয়ার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোড়পুল এলাকার কাছে ইউটার্ন নিতে গিয়ে উল্টে যায়। তাতে ট্যাংকারের তেল ছড়িয়ে আগুন ধরে যায়।
তেলের ট্যাংকারে আগুন: অনাগত শিশুটি যেন বাবাকে দেখতে পায়, এই প্রার্থনায় পরিবার
সেই আগুনে পুড়ে যায় আরো দুটি ট্রাক ও একটি সেডান। আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। নজরুল ইসলাম নামে এক তরমুজ বেপারি মারা যান হাসপাতালে নেওয়ার পথে। ট্রাক চালক হেলালসহ ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনজনে।
হেলাল দগ্ধ হওয়ার পর দিনভর তার অন্ত্বসত্ত্বা স্ত্রী সোনিয়া আক্তার ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান করছিলেন। তার একটাই প্রার্থনা ছিল, অনাগত সন্তানটি যেন বাবাকে দেখতে পায়।
হেলাল বরগুনা সদর উপজেলার ছোট গৌরিচন্না গ্রামের জয়নুউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে হেলাল হাওলাদার।
নিহতের ভগ্নিপতি বুলবুল জানান, হেলাল বরগুনা থেকে তরমুজ বোঝাই ট্রাক নিয়ে ঢাকার দিকে আসছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় পড়েন।
হেলাল যে ট্রাকটির চালাচ্ছিলেন, সেটির হেলপার কিশোর সাকিবের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তারও শরীরের শতভাগ পুড়ে গেছে।
ওই আগুনে দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন আরো ছয়জন। তারা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জের মিলন (২২), বরগুনার আল আমিন (৩৫), মিম (১০), নিরঞ্জন (৪৫), রাজশাহীর আবদুস সালাম (৩৫) ও আরেক ট্রাকের চালক মো. আল আমিন (২২)।