এক মিনিট বাতি নিভিয়ে কালরাত স্মরণ

ঘড়ির কাঁটা ১১টা ছুঁতেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2024, 05:30 PM
Updated : 25 March 2024, 05:30 PM

বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ৫৩ বছর আগে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যার যে বিভীষিকা চালিয়েছিল, আলো নিভিয়ে সেই কাল রাতকে স্মরণ করল বাংলাদেশ। 

সোমবার রাত ১১টায় এক মিনিট দেশের বিভিন্ন স্থানের বাতি নিভিয়ে ‘প্রতীকী ব্ল্যাকআউট’ এর এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

ঘড়ির কাঁটা ১১টা ছুঁতেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি স্থাপনাগুলো বাদে ক্যাম্পাসের স্থাপনাগুলোর বাতি নিভিয়ে ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হয়। 

একাত্তরের ২৫ মার্চে রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের প্রস্তাব ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। পরের বছর থেকে প্রতি ২৫ মার্চ রাতে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করে আসছে বাংলাদেশ। 

রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনও এ কর্মসূচি পালন করেছে। 

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা পাওয়ার পর মুক্তিকামী জনতার মধ্যে বিদ্রোহ দানা বাধতে থাকে। অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিধনযজ্ঞের প্রস্তুতি নেয়। 

বাঙালির মুক্তির আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, শুরু হয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’। 

সেই অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, রমনা কালীমন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় গণহত্যা। শুধু ঢাকাতেই অন্তত ৭ হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়। 

পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। সশস্ত্র সংগ্রামে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আসে স্বাধীনতা। 

কার্যত সেটাই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, যার পথ ধরে কালরাতের পর শুরু হয় বাঙালির প্রতিরোধ পর্ব।