এর আগে ২০১৯ সালের অগাস্টে মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
Published : 31 Oct 2022, 07:28 PM
বছরের অন্য সময়ের চেয়ে অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার মধ্যে মৃত্যুর সারি দীর্ঘ হচ্ছে; চলতি মাসের ৩০ দিনেই মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের।
সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যুসহ দেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের পর এক মাসে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এরচেয়ে বেশি মৃত্যু আর হয়নি।
এর আগে ২০১৯ সালের অগাস্টে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যার দিক থেকেও চলতি বছরের অক্টোবর আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। ৩১ অক্টোবর সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে ২১ হাজার ৯৩২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর এইডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও ছিল সবচেয়ে বেশি; ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর এক মাসে সবচেয়ে বেশি ৫২ হাজার ৬৩৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন অগাস্টে।
গত চার বছরের অক্টোবর মাসের হিসাবে দেখা গেছে, এ বছরের অক্টোবর মাসেই আক্রান্ত ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ৮ হাজার ১৪৩ জন আক্রান্তের পাশাপাশি ১১ জনের মৃত্যু হয়।
ডেঙ্গু: কোথাও যেন পানি না জমে, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ডেঙ্গু: দ্রুত কমছে প্লাটিলেট, লাগছে রক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি। ২০২১ সালের অক্টোবরে ৫ হাজার ৪৫৮ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ২২ জনের।
সরকারি হিসাবে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ৮৭৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে,এ সময় মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।
এ নিয়ে এ বছর দেশে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৮ হাজার ২৪ জন। এ বছর মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর এ সংখ্যা বাংলাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এতদিন ২০১৯ সালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ হাজার ৪২৯ জন রোগী ২০২১ সালে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে ডেঙ্গু বাড়ার শঙ্কা
২০১৯ সালে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা দেশে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ২০২১ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১০৫ জনের।
দেশে এ পর্যন্ত যে ১৪১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৮৪ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়।
চলতি বছরের মাসওয়ারি হিসাবে অক্টোবরের আগে সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ জনের মৃত্যু হয় এইডিস মশাবাহিত এ রোগে।