পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে ফের কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকামুখী হচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
Published : 01 Jul 2023, 04:57 PM
ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দের মুহূর্ত কাটিয়ে ফের কর্মস্থলে যোগ দিতে শনিবার থেকেই রাজধানীমুখী হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত তেমন ভিড় না থাকলেও ঢাকা সদরঘাট এলাকায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। গাবতলী থেকে অনেককে ঢাকা ছাড়তেও দেখা গেছে।
এবার কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয় ২৯ জুন বৃহস্পতিবার। সাধারণত ঈদের আগের দিন ও পরের দিন মিলিয়ে তিন দিন সরকারি ছুটি থাকে। কিন্তু ঈদযাত্রার সুবিধার কথা ভেবে ২৭ জুনও নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। আর ১ জুলাই শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় টানা পাঁচদিন ছুটি উপভোগ করতে পেরেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
লম্বা ছুটি শনিবার শেষ হলেও এদিন কর্মস্থল ঢাকাগামী মানুষের ভিড় বেশি ছিল না গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়। মাজার রোড ও টেকনিক্যাল মোড়ে ভাড়ার আশায় অপেক্ষা করতে দেখা যায় অনেক মোটরসাইকেল চালককে।
গাবতলী বাস টার্মিনালে অটোরিকশা চালক মনির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনও খুব বেশি মানুষ ঢাকায় ফেরেনি। শনিবার রাতে অনেকেই ঢাকায় আসবে বলে ধারণা করছি।”
মোটরসাইকেল চালক আশিকুর রহমান মাজার রোডে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাবছিলাম শনিবার অনেক মানুষ ঢাকায় ফিরব। ফাঁকা রাস্তায় অল্প সময়ে অনেক ভাড়া মারতে পারুম। কিন্তু বেশি লোকজন ফিরতাছে না।”
সচিবালয় ও অন্যান্য সরকারি অফিস খোলার পাশাপাশি রোববার থেকে খুলছে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার। একটানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর এদিন বেলা ১০টা থেকে আগের মত লেনদেন শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে বেলা ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত।
অবশ্য এই পাঁচ দিন পুঁজিবাজার সম্পূর্ণ ছুটিতে থাকলেও পশুর হাট এলাকা ও তৈরি পোশাক শিল্প এলাকায় ব্যাংক সীমিত পরিসরে খোলা ছিল ঈদের আগের দিন ২৮ জুন পর্যন্ত। পশুর হাট এলাকায় বর্ধিত সময় রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা ছিল ব্যাংক।
শনিবার ছুটি শেষ হলেও বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে থাকায় পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ থাকে।
ছুটির সময়ে এটিএম বুথ, এমএফএস, কিউ আর কোড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাপগুলো সার্বক্ষণিক সচল রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বুথে পর্যাপ্ত টাকার সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে ঈদের ছুটির মধ্যেও সমুদ্র, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও বুথগুলো খোলা ছিল।