“একটি দেশের ভিসানীতি কি হবে এটি তাদের বিষয়। এটা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের চিন্তার কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না,” বলেন তিনি।
Published : 22 Oct 2023, 02:50 AM
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের মাসে দায়িত্ব পাওয়া ঢাকার নতুন পুলিশ কমিশনার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্নে টানলেন সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, যিনি বলেছিলেন, তিনি কখনও আমেরিকা যাননি, যাওয়ার ইচ্ছাও নেই।
দুই দিন আগে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেওয়া হাবিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আসেন সোমবার। নানা ইস্যুতে তাকে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা।
একটি প্রশ্ন ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে পুলিশ বাহিনীতে কোনো আতঙ্ক আছে কি না। থাকলে মনোবল চাঙার করতে ডিএমপি কী পদক্ষেপ নেবে?
জবাবে তিনি বলেন, “আমি নির্বিঘ্নে বলতে চাই। একটি দেশের ভিসানীতি কি হবে এটি তাদের বিষয়। এটা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের চিন্তার কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।
“আমাদের সদ্যবিদায়ী প্রধান বিচারপতি একটি দেশের নাম উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমি কোনো দিন ওই দেশে যাই নাই, আমার যাওয়ার ইচ্ছাও নেই।’ উনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন।"
তিনি বলেন, “আমি যোগদান করে পুলিশের ভেতরে এ রকম কোনো চিন্তার বিষয় (আমেরিকার ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বেগ) দেখি নাই। এটি একটি ব্যক্তি পর্যায়ের ব্যবস্থা। সংগঠন পর্যায়ের কোনো ব্যবস্থা নয়।
“সংগঠন হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময়ই ঢাকাবাসীর জন্য এবং ঢাকার জনগণের জন্য, নিরাপদ ঢাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারা (পুলিশ) এগুলো নিয়ে কোনো চিন্তা করে না।"
এডিসি হারুন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি
শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকে পিটুনি এবং বারডেম হাসপাতালে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক ও তার স্ত্রী ডিএমপির এডিসি সানজিদা আফরিনকে ঘিরে আরেক এডিসি হারুন অর রশিদের মধ্যকার ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা।
জবাবে ডিএমপি কমিশনার এই প্রসঙ্গে তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বক্তব্য। তিনি বলেন, "আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন যে, যতটুকু অপরাধ করবে ঠিক ততটুকু শাস্তি দেওয়া হবে। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমিও একই কথা বলতে চাই। যতটুকু অপরাধ করবে ঠিক ততটুকু শাস্তি দেওয়া হবে।"
ডিএমপি প্রধান বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ একটি শৃঙ্খল বাহিনী। বাহিনীর যে নিয়ম কানুন আছে সেই নিয়ম কানুনের মধ্যে চলে এবং চলবে। ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত চলছে।
“স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক যে বিভাগের কর্মকর্তা, সেই বিভাগের পদক্ষেপও দেখতে চান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, "তার (এপিএস আজিজুল) যে ডিপার্টমেন্ট আছে, সেটিও সরকারি বিধি-বিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। আমি মনে করি, জড়িত দুজন সরকারি ডিপার্টমেন্টের ও দুজনই ক্যাডার কর্মকর্তা। সেখানে দুজনের নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ রয়েছে। যার যার দায়িত্ব সেই সেই পালন করবে, আমি মনে করি।"
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অপরাধী পুলিশ হোক আর পুলিশের বাবা হোক, সে অপরাধী। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
(প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)