কারাগারেও পান্তা-ইলিশে নতুন বছর শুরু

বাংলা বর্ষবরণের আনন্দের ভাগিদার হয়েছেন কারাবন্দিরাও। পান্তা-ইলিশে সকাল শুরুর পর দিনভর তাদের জন্য রাখা হয়েছে নানা আয়োজন।

দুপুরে ও রাতে উন্নত খাবারের পাশাপাশি বন্দিদের অংশগ্রহণে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শোভাযাত্রা, ছোট পরিসরে বৈশাখী মেলাসহ বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা স্বজনদের আপ্যায়নসহ নানান আয়োজনে বর্ষবরণ করছে দেশের কারাগারগুলো।

ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্দিদের জন্য সকালেই পান্তা-ইলিশসহ নানান পদের ভর্তা ছিল। দুপুরে উন্নতমানের খাবার দেওয়া হয়েছে, রাতেও উন্নত খাবার দেওয়া হবে। বেলা ৩টায় তাদের অংশগ্রহণে কারাগারের অভ্যন্তরে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

“এর বাইরে বন্দির আত্মীয়স্বজন ও আমাদের স্টাফদের অংশগ্রহণে র‌্যালি ছিল। বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জিনিস যেমন হাতপাখা, বাচ্চাদের জন্য চরকি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া হাওয়াই মিঠাই, বায়োস্কোপসহ কারাগারগুলোতে ছোট পরিসরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।”

স্টাফদের জন্যও সকালে পান্তা-ইলিশ, দুপুরে ও রাতে বিশেষ খাবার এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানান এই কারা কর্মকর্তা।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসাদের জন্য এদিন ছিল ‘ওয়েলকাম ড্রিংকসের’ ব্যবস্থা। এছাড়া বৈশাখী হাত পাখা বিতরণ, বাচ্চাদের জন্য চরকি ও ক্যাপ, বেলুন, ভুলুজেলা বিতরণ করা হয়েছে।

এদিন সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় কারাগারের আবাসিক এলাকার মাঠ থেকে বৈশাখী শোভাযাত্রা শুরু হয়ে কারাগারের সামনে হয়ে কারারক্ষী ব্যারাক হয়ে আবার আবাসিক এলাকার মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

এতে ঘোড়ার গাড়িসহ গ্রামীণ ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে শাড়ি-লুঙ্গি পরে নানান সাজে অংশ নেন কারারক্ষীরা।

কারাগারের ভেতরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নেচে গেয়ে উৎসব উদযাপন করতে দেখা গেছে বন্দিদের।

কারা অধিপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত-উল ফরহাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নববর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল কারাগারেই আনন্দ-উৎসবসহ বন্দি ও স্টাফদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।

“সকালে পান্তা-ইলিশের পাশাপাশি কারাগারগুলোতে দুপুরে ও রাতের খাবারে রয়েছে মুরগির রোস্ট, পোলাও, মিষ্টি, পান-সুপারি। কোথাও কোথাও গরুর মাংসও রাখা হয়েছে “

তিনি বলেন, “এছাড়া বন্দিদের জন্য ও স্টাফদের জন্য পৃথক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে। দেশের সব কারাগারগুলোতেই বৈশাখী উৎসবের নানান আয়োজন চলছে।”