গত ৪ অগাস্ট বিকালে হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার দক্ষিণ দিকের রাস্তা পার হয়ে ফলের দোকানে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন ফরিদ শেখ।
Published : 20 Aug 2024, 03:24 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে এক ফল ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার বোন ও পুত্র-কন্যাকে আসামি করে মামলা হয়েছে ঢাকার আদালতে।
নিহত ফল ব্যবসায়ী মো. ফরিদ শেখের বাবা মো. সুলতান শেখ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. শাকিল আহমেদ বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদীর আইনজীবী জামাল হোসেন জানান।
মামলার আরজিতে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা শেখ ফজলে নুর তাপস, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বোন শেখ রেহানাকে যথাক্রমে আসামির তালিকায় যথাক্রমে ৭, ১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বরে রাখা হয়েছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ৪ অগাস্ট বিকালে ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার দক্ষিণ দিকের রাস্তা পার হয়ে তার ফলের দোকানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হন। রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ অগাস্ট তার মৃত্যু হয়।
বাদী তার আবেদনে বলেছেন, “সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ রেহানার নিজস্ব কোনো পেশা নেই, তাদের একমাত্র কাজ ছিল শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল রেখে বাংলাদেশের টাকা লুট করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাচার করা। এজন্য তারা শেখ হাসিনাকে তার পোষ্য বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যার বিষয়ে কুপ্ররোচণা দেন।”
ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেষ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তার বিরুদ্ধে মোট ১৭টি মামলা হয়েছে এর আগে, যার বেশিরভাগই হয়েছে ঢাকায়।