১৩-২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৯টি, যা মোট সরকারি কর্মচারীর ৭১ শতাংশ।
Published : 28 May 2024, 04:33 PM
সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসির মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য পিএসসির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, “আমাদের মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে, কমিটি সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের (১৩ থেকে ২০ গ্রেড) নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটি সুপারিশ পাঠিয়েছে।
“এর পরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবগতি করা হবে, ওনার মতামত নেওয়া হবে। এছাড়া আমাদেরও কিছু দিন বিষয়টা দেখতে হবে। তবে ৩ মাসের মধ্যে আশা করি একটা সিদ্ধান্ত আসবে।"
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, হয়রানি বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ' অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, “১৩তম থেকে ২০তম- এই আটটি গ্রেডের কর্মচারীরা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির হিসেবে পরিচিত। সরকারি চাকরিতে এ দুই শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস'র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সরকারি পদ আছে ১৯ লাখ ১৫১টি।
“এর মধ্যে ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য অনুমোদিত পদ ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৯টি, যা মোট সরকারি কর্মচারীর ৭১ শতাংশ। প্রথম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডের কর্মচারীরা প্রথম শ্রেণির এবং এর পর ১২তম গ্রেড পর্যন্ত কর্মচারীরা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে পরিচিত।"
বিভিন্ন অভিযোগে গত এক দশকে ১৮১ জন সরকারি কর্মকর্তা শাস্তি পেয়েছেন বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ।
তিনি বলেন, “বিগত ১০ বছরে ১ থেকে ৯ গ্রেডের ৩৫১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। এরমধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন, লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সবমিলিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।"
সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি পদ শূন্য আছে বলে জানান মন্ত্রী ফরহাদ।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ'র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
বিএসআরএফ'র সহ-সভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য আসাদ আল মাহমুদ, ওবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহসীনুল করিম লেবু, আয়নাল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।