শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের নারী পুলিশরা ‘ভালো’ করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় পাঁচশ সদস্য জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে ‘জাতিসংঘ পুলিশ’ হিসাবে নিয়োজিত আছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2022, 11:59 AM
Updated : 30 Oct 2022, 11:59 AM

নারী ও শিশুর নিরাপত্তা রক্ষায় এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের নারী পুলিশ সদস্যরা ‘চালিকা শক্তি’ হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি জানিয়েছেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নারী পুলিশের অংশগ্রহণের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন ‘শীর্ষে’ আছে।

রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ইউনাইটেড নেশনস পুলিশ ডে-২০২২’ এর ‍ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, “আমাদের নারী শান্তিরক্ষীরা জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা, সংঘাত এবং সংঘর্ষ কমাতে, বিশেষ করে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা প্রদানে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।”

বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় পাঁচশ সদস্য জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে ‘জাতিসংঘ পুলিশ’ হিসাবে নিয়োজিত আছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “তারা অত্যন্ত আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রশংসা অর্জন করছে।“

তাতে দেশের ‘সম্মান ও মর্যাদা বেড়েছে’ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করা হলে তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সেবায় দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে।“

শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৩ জন পুলিশ সদস্য প্রাণ দিয়েছেন বলে অনুষ্ঠানে জানান মন্ত্রী। 

পুলিশের পেশাদারিত্ব বাড়াতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত এক দশকে সরকার বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা, সক্ষমতা এবং পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, প্রযুক্তিভিত্তিক অপরাধ তদন্তে বেশ কিছু বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।“

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতিসংঘের পুলিশ ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অ্যাডভাইজার কমিশনার জুন টান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইন্টিগ্রেটেড ট্রেনিং সার্ভিসের প্রধান মার্ক পেডারসেন, পুলিশ ডিভিশন ও ইন্টিগ্রেটেড ট্রেনিং সার্ভিসের প্রতিনিধি এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের ‘পিসকিপিং’ প্রশিক্ষকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনসের পুলিশ ডিভিশন এবং বাংলাদেশ পুলিশ যৌথ উদ্যোগে এবারে ‘ইউনাইটেড নেশনস পুলিশ ডে’ আয়োজন করে।