এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে ৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। এর আগে বাদীসহ ৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল।
Published : 26 Dec 2023, 06:23 PM
পাঁচ বছর আগে ঢাকার কারওয়ান বাজারে দুই বাসের মধ্যে পড়ে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত হারানোর ঘটনায় করা মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল লতিফ ও বাসযাত্রী মো. আলাউদ্দিন হাসান আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বাসযাত্রী আলাউদ্দিন দুর্ঘটনার পর রাজীবকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্য নেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ডাবলু।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে ৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
এর আগে বাদীসহ ৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল।
আগামী ২১ জানুয়ারি এ মামলার পরবতী সাক্ষ্যের তারিখ রাখা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন।
হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটি ঘেঁষে অতিক্রম করে। এ সময় দুই বাসের চাপে রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার মাথাতেও প্রচণ্ড আঘাত লাগে।
হাত হারানো রাজীব না ফেরার দেশে
দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ১০ এপ্রিল ভোর পৌনে ৪টায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন রাজীব। এরপর ওইদিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। পরে ১৭ এপ্রিল মারা যান তিনি।
মৃত্যুর আগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮-এর ‘ক’ ধারায় মামলা করেন রাজীব (মামলা নম্বর ১১(৪)১৮)।
ঘটনার এক বছর ৯ মাস পর দুই বাসের চালকের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মো. ইদ্রিস আলী। অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী রাখা হয় ১৭ জনকে।
মামলার আসামিরা হলেন- বিআরটিসি বাসচালক ওয়াহেদ ও স্বজন পরিবহনের বাসচালক মো. খোরশেদ। তারা হাই কোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।