‘জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায়ে জোরাল প্রচার দরকার’

১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল জেনোসাইডের মূলকেন্দ্র, বলেন উপাচার্য আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2023, 02:59 PM
Updated : 22 May 2023, 02:59 PM

১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জোরাল প্রচার দরকার বলে মনে করেন নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিক হ্যারি ফন বোমেল। 

তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল, তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির যোগ্যতা রাখে। সেই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জোরালো প্রচার দরকার। 

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে গণহত্যার ওপর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

হ্যারি ফন বোমেল বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ব রাজনীতিতে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। সে কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারত ও বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়। তার প্রভাবেই এটি বিলম্বিত হয়েছে।

“আর্মেনীয় জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ১০০ বছর লাগলেও বাংলাদেশে জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেতে অত সময় লাগবে না। জোরালো প্রচার চালালে দ্রুতই এই জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায় সম্ভব।” 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের উপর পাকিস্তানিদের বর্বরতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, “এই ন্যক্কারজনক জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে।  ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল জেনোসাইডের মূলকেন্দ্র। 

“পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের নৃশংস জেনোসাইডের নজির নেই। দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা এই নৃশংসতায় সহযোগিতা করেছিল।”

ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরামের চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া বলেন, “জেনোসাইডকে স্বীকৃতি না দেওয়া অস্বীকার করার শামিল। ১৯৭১ সালে কী ঘটেছে- এ বিষয়ে আমাদের নিজেদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রতিটি জেনোসাইডের স্বীকৃতি থাকা উচিত।” 

আমরা একাত্তর, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এবং প্রজন্ম ’৭১ যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করে। 

আমরা একাত্তরের চেয়ারম্যান মাহবুব জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমস্টারডাম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. অ্যান্থনি হোলস্ল্যাগ, সুইস ইন্টারস্ট্যাটেজি গ্রুপের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন।