আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ‘আস্থার সংকট’ আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেই সংকট ‘কাটিয়ে কমিশন অবাধ এবং নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চায়’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “সংকট যা আছে সেটি আস্থার সংকট। আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাব, সেখানে যেন আস্থার সংকট না থাকে। আমরা যারা নির্বাচন পরিচালনা করব, নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা যারা আছেন, আরপিও অনুযায়ী দায়িত্বটা ভালোভাবে নেবেন।
“কোনো প্রশ্নের উদ্রেক হলে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। দায়িত্বটা কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ইসি থেকেও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করব।“
রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচিনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন সিইসি।
দুই দিনের আবাসিক এ কর্মশালায় অংশ নেন ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা।
সিইসি বলেন, “প্রযুক্তির কারণে মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রচার করতে পারে।... বাজারে যে কথা আছে। আমাদের ওপর, সরকারের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না।“
কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, "আমরা এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে চাই, যে আগামীতে যে নির্বাচনটা হবে অবাধ এবং নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে, একই সঙ্গে স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা আমরা দেখাতে চাইব মিডিয়া এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।"
হাবিবুল আউয়াল বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন তর্ক বিতর্ক হতে পারে। অতীতেও যে হয়নি তা নয়। আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি।... আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বলা হয় নির্বাচনটা ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা আনতে পারি।"
তিনি জানান, এখন অনেক অপপ্রচার হয়। যেটাকে মিস ইনফরমেশন বলে। সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বানিয়ে প্রচার করা হতে পারে। সেগুলো কিন্তু কঠোভাবে প্রতিরোধ করা হবে। যাতে নির্বাচনে ঋণাত্মকভাবে প্রভাব না পড়ে।
অন্যদের মধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
(প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)