অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা।
Published : 17 Aug 2023, 12:08 AM
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ৪৮তম বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “জাতির পিতার ছিলেন মহৎ, উদার, অমায়িক, মানবীয় গুণসম্পন্ন একজন মহান ব্যক্তিত্ব। মানুষকে তিনি অন্তরের গভীর থেকে সম্মান করতেন। খাওয়ার সময় হলে সবাইকে নিয়ে একসাথে খেতেন, ব্যক্তিগত কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ খেয়েছেন কি না, তার খবর নিতেন।
“জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল আচরণের সংযমতা, ভদ্রতা, বিনয়, স্নেহশীলতা, সাহসিকতা ও মানুষের প্রতি অসীম সম্মান প্রদর্শন।”
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জাতির পিতার আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জাতির পিতার পরিবারের আড়ম্বরহীন মধ্যবিত্ত জীবনের নানা সুখ-দুঃখের কাহিনী ছিল।”
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মমতা, অ্যাপায়ন ও বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় দল পরিচালনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি শেখ কামালের বন্ধু ছিলাম। বঙ্গমাতা আমাদের মমতা নিয়ে আপ্যায়ন করতেন। খাওয়া শেষ না অবধি কাছে দাঁড়িয়ে থাকতেন।”
মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতীয়তাবাদের চেতনা দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে কেন আমরা বাঁচাতে পারলাম না? বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অপপ্রচার হয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য।
“জাতির পিতা রাজাকারদের মাফ করে দিয়েছেন, তা সত্য নয়। বঙ্গবন্ধু ট্রাইব্যুনাল করে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী কাজ যারা করেছিল তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করেন।"
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জাতির পিতা তার সাড়ে ৩ বছর সরকার পরিচালনাকালে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছিলেন এবং যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, তা তুলে ধরেন।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নিষ্ঠুরতায় রক্ষা পায়নি শিশু ও নারী। এ হত্যাকাণ্ডকে কারবালার নিষ্ঠুরতাকে হার মানায়।”
মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিভুক্ত দপ্তর প্রধান, মহাপরিচালক এবং বিভিন্ন উইংয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।