গণমাধ্যমকর্মী বিল: প্রতিবেদন দিতে আবারও সময় নিল সংসদীয় কমিটি

নির্দিষ্ট সময়ে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে না পারায় সোমবার সংসদে আরও ৯০ দিন সময় চান কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2023, 03:26 PM
Updated : 5 June 2023, 03:26 PM

গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২ পরীক্ষা করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে চতুর্থ দফায় আরও ৯০ দিন সময় নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

নির্দিষ্ট সময়ে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে না পারায় সোমবার সংসদে আরও ৯০ দিন সময় চান কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব ভোটে দিলে সংসদ তাতে অনুমোদন দেয়।

গত বছরের ২৮ মার্চ আলোচিত এই বিল সংসদে তুলেছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

Also Read: গণমাধ্যমকর্মী বিল পর্যালোচনায় আরও ৬০ দিন পেল সংসদীয় কমিটি

বিলটি ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন দিতে না পেরে গত বছরের ৬ জুন ৬০ দিন বাড়তি সময় নেয় সংসদীয় কমিটি। এরপর অগাস্টে দ্বিতীয় দফায় ৬০ দিন সময় বাড়িয়ে নেয় সংসদীয় কমিটি। এরপর গত জানুয়ারিতে সংসদীয় কমিটি আবার ৯০ দিন বাড়িয়ে নেয়।

এ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে না পারায় সোমবার আবারও বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে সময় নিল কমিটি।

প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে সাংবাদিক, সম্পাদক ও মালিকপক্ষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। গত বছরের মার্চে আইনের খসড়া সংসদে তোলার পর থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন আইনের বেশ কিছু ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। প্রস্তাবিত আইনটিতে গণমাধ্যমকর্মী ও মালিকপক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তিতে গণমাধ্যম আদালত স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন, ২০২২’ পাস হলে এটি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ‘বাধাগ্রস্ত’ করবে এবং সংবাদপত্রের বিকাশ ‘সংকুচিত’ করবে বলে মনে করছে মুদ্রিত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের একটি সংগঠন সম্পাদক পরিষদ।

গত বছরের এপ্রিলে এক বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ বলেছিল, প্রস্তাবিত আইনের ৫৪টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই ‘সাংবাদিকবান্ধব নয়’। সার্বিকভাবে এ আইন গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে। এ রকম আইন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।

আর প্রস্তাবিত আইন প্রচলিত বিচারব্যবস্থা, শিল্প আইন ও বাংলাদেশ শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে সংবাদপত্রের মালিকদের একটি সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

সংগঠনটি বলেছে, এই আইন পাস হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ‘বাধাগ্রস্ত’ হওয়াসহ সংবাদপত্রের বিকাশ ‘সংকুচিত’ হবে।