“আমি নীরেট সত্য কথাটা বললাম, পছন্দ করেন আর না করেন,” বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
Published : 20 Jul 2023, 07:59 PM
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গণতন্ত্র বা মানবাধিকার নয়, দেশের মানুষের কাছে খাবার আর পানির ভাবনাই বড়।
নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর নানামুখি তৎপরতার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক আয়োজনে পরিকল্পনামন্ত্রীর এ মন্তব্য এল।
ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিএস) বাংলাদেশ আয়োজিত ‘রেজিলিয়েন্ট অ্যান্ড রিসার্জেন্ট বাংলাদেশ: সাস্টেইনিং ইকোনমিক গ্রোথ ইন আ চেইঞ্জিং ক্লাইমেট’ শীর্ষক দুই দিনের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের একটি সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “আমি গ্রামে যাই, (মানুষের সঙ্গে) কথাও বলি। আমি নিজেও গ্রামের মানুষ।
“মানুষ কিন্তু চায় খাওয়ার পানি। মানুষ এক গ্লাস গণতন্ত্র চায় না, এক কাপ মানবাধিকার চায় না, এক গ্লাস খাওয়ার পানি চায়, এক কাপ ডাল চায়।
“আমি নীরেট সত্য কথাটা বললাম, পছন্দ করেন আর না করেন।”
গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমেই সরকারের ক্ষমতায় আসা ও থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে মান্নান বলেন, “উই আর চিলড্রেন অব ডেমোক্রেসি থ্রো দ্য ইলেকশনস।”
উন্নয়ন আর গণতন্ত্র- এ দুটির মধ্যে কোনো বিবাদ নেই বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “দুটোই দরকার কোনো সন্দেহ নেই। (কিন্তু) কোনটা আগে দরকার? আপনি যদি ইসলাম ধর্মের ধার্মিক লোক হন, তাহলে আপনি ফরজ আগে পড়বেন, নাকি সুন্নাত আগে পড়বেন? আপনার সিদ্ধান্ত আপনি নেবেন।
“আমি যেটা বার বার বলেছি, এই দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো প্রকৃত অর্থে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়নি পুরোপুরি। হয়ত দুই দিনের চাল ঘরে আছে, কিন্তু এক বছরের খাবার ঘরে আছে নিশ্চিতভাবে– এই রকম পরিবার খুঁজে পাবেন না আপনি সারা দেশে।”
বিএনপির চলমান আন্দোলনে দেশের ‘ক্ষতি’ হচ্ছে মন্তব্য করে মান্নান বলেন, “এইভাবে রাস্তা ঘাট বন্ধ করলে দেশের ক্ষতি হবে, সুশাসন আসবে না, প্রবৃদ্ধি আসবে না, শিক্ষা আসবে না।
“যদি আমাদের কোনো ভুল হয়ে থাকে, সেটাকে শোধরাবার পথ আমাদের সংবিধানে আছে, আমাদের আইনে আছে।”
তিনি বলেন, “অনেক আইন আমি মানতে চাই না। কিন্তু দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে আমাদের দায়িত্ব হবে আমাদের আইনকে প্রতিফলন করা। আইনকে মেনে তর্ক বিতর্ক করা।
“বকাঝকা করা, গ্রাম্যভাবে শহরের পথঘাট বন্ধ করে লাটিসোঁটা হাতে নিয়ে….. কোনো সমাধান আসবে না।”