২৩৫৫ কোটি টাকা শোধ করতে হবে তিন টেলিকম অপারেটরকে: আপিল বিভাগ

বিটিআরসি এবং তিন টেলিকম অপারেটরের আলাদা আপিলের শুনানি করে আপিল বিভাগ এই আদেশ দিল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2023, 02:03 PM
Updated : 10 Jan 2023, 02:03 PM

স্পেকট্রাম ফি ও লাইসেন্স ফি বাবদ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ২ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংককে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এর মধ্যে গ্রামীণফোনকে ১ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর রবিকে ৬২৫ কোটি এবং বাংলালিংককে ৫৬৫ কোটি টাকা দিতে হবে।

এ বিষয়ে বিটিআরসি এবং তিন টেলিকম অপারেটরের করা আলাদা আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন এবং বিটিআরসির পক্ষে ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা- ই-রকিব আদালতে শুনানি করেন। মোবাইল কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “গ্রামীণ ফোন, রবি ও বাংলালিংকের জন্য সরকার যে তরঙ্গ বরাদ্দ করে, তার ওপর চার্জ করা হয়। এর সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করা হয়। এই ভ্যাট যুক্ত করার কারণে টেলিকম অপারেটর তিন কোম্পানি হাই কোর্টে এসে মামলা করে। হাই কোর্ট তাদের রিট খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে তারা (তিন অপারেটর) আপিল আবেদন করলে আদালত শুনানি নিয়ে তাদের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এর ফলে এখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআর এবং বিটিআরসি টাকা আদায় করবে।”

তিনি বলেন, “শুনানিতে আমরা বলেছি, ভ্যাটের ক্ষেত্রে ২০১১ সালের আইন সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধনীর ফলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা ভ্যাট দাবি করতে পারি।”

বিটিআরসির আইনজীবী রেজা-ই রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা তিন অপারেটরের কাছে লাইসেন্স নবায়ন ফি এবং রেভিনিউ শেয়ারিং ফিসহ বিভিন্ন ফি বাবদ দুই হাজার দুইশ কোটি টাকার মতো পাব। এর সঙ্গে আরো তিনশ কোটি টাকার মত ফি রয়েছে বকেয়া।”

কবে নাগাদ ফি পরিশোধ করতে হবে সেই প্রশ্নের উত্তরে এই আইনজীবী বলেন, “তা আমরা এখনো জানি না। আদেশের কপি পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। আপাতত আমরা শুধু বলতে পারি যে, শিগগিরিই পরিশোধ করতে হবে।”

২০১২ সালে বিটিআরসি টুজি ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের বিপরীতে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক এর কাছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট চায়। কিন্তু অপারেটগুলো ভ্যাট অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আসে। এরপর থেকেই টেলিকম অপারেটর এবং বিটিআরসির মধ্যে আইনি লড়াই চলে আসছে।