দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ওই দুই নাশকতার ঘটনা ঘটেছিল।
Published : 30 Oct 2023, 06:00 PM
দশ বছর আগে ঢাকার কলাবাগান এলাকায় নাশকতার দায়ে বিএনপি নেতা শেখ রবিউল আলম রবিসহ ১০ জনকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের অন্যতম আইনজীবী আবুল কালাম খান।
অন্য দণ্ডিতরা হলেন- শাহ আলম সৈকত, জহিরুল হক দিনা, মোজাম্মেল হক বাবু, জাকির হোসেন, শাহিন ওরফে চাবি শাহিন, নোমান, কামরুজ্জামান চৌধুরী ওরফে মাসুদ, এলিন ও শহিদুল হক।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা ভোগ করতে হবে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫৭ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানার এসআই এএফএম মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুন উর রশিদ।
আরেক মামলায় ১১ জনের কারাদণ্ড
এদিকে প্রায় একই সময়ে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় বাসে আগুন দেওয়ার আরেক মামলায় বাড্ডা থানা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্লাসহ ১১ জনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- মান্নান মোল্লা, কামরুজ্জামান স্বপন, শায়রুল, সাইফুল ইসলাম, দীপক কুমার দাস ওরফে টাইগার মেম্বার, শাকিল আহমেদ, আব্দুর রহিম ওরফে টিটু, বাবুল ওরফে বাবুল জামাই, রেফাতুল আলম ও জসিম ঢালী।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন দণ্ডিতদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, আবুল কালাম খান, নুরুজ্জামান তপন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুল ইসলাম জানান, আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আর ২৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বিএনপিসহ ১৮ দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর সকাল সোয়া ৭টার দিকে প্রগতি সরণির আলাতুন্নেছা গলির মুখে আসামিরা যানবাহনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং একটি বাসে আগুন দেন।
ওইদিনই মামলাটি করেন বাড্ডা থানার এসআই রহমত আলী।মামলাটি তদন্ত করে ৩৭ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন একই থানার উপ-পরিদর্শক ওবায়দুল ইসলাম।