বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ১৮ বছর পূর্তি উদযাপনের আনন্দ আয়োজনের সঙ্গী হয়ে তিনি বলেন, বিডিনিউজ প্রাপ্তবয়স্ক হল। সবাইকে অভিনন্দন।
Published : 19 Nov 2024, 09:10 PM
সংবাদপত্রের জগতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম একটা ‘নতুন লাইন’ তৈরি করেছে বলে মনে করেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমান।
দেশের সব খাতের শীর্ষ স্থানীয়দের মত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ১৮ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে এসে এ কথা বলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমান।
কয়েকদিন আগে জীবনের ৯০ বছর উদযাপন করা এই সাংবাদিক বিবিসিতে কাজ করেছেন। ২০০৬ সালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে খোলনলচে বদলে দিয়ে নতুন মাত্রা দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়ার আগে প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীও লন্ডনে বিবিসিতে সাংবাদিকতা করেছেন।
শফিক রেহমান সেই স্মৃতিচারণ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের উদযাপন অনুষ্ঠানে বলেন, “১৯৫৭ সাল থেকে আমি লন্ডনে বিবিসিতে পার্ট টাইম, ফুল টাইম নানাভাবে কাজ করেছি। তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে পেয়েছিলাম। একমাত্র ব্যক্তি তৌফিক, যে বিবিসির চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল। আমি খুব অবাক হয়েছি। সে বলেছিল, আমি দেশে ফিরে যাব। ফিরে স্বাধীন সাংবাদিকতা করব। তো, তার ভিশন ছিল। সে ভিশনারি।
“সংবাদপত্রের জগতে বিডিনিউজ একটা নতুন লাইন তৈরি করল। বিডিনিউজ প্রাপ্তবয়স্ক হল। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি অভিনন্দন জানাই।”
ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের বলরুম মঙ্গলবার রাত ৮টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ১৮ বছর পূর্তি উদযাপনের আনন্দ আয়োজন শফিক রেহমানসহ অন্য অতিথিদের উপস্থিতিতে পরিণত হয় অতিথিদের মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মধ্যে আরও যোগ দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ।
অনুষ্ঠানটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
রনো সংকটের অভিঘাত পেরিয়ে নতুন সম্ভাবনার আশা জাগানিয়া এই প্রহরে দেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর উদযাপনে সঙ্গী হয়েছেন আরও অনেকে।
এ উপলক্ষে র্যাডিসনের বলরুমে প্রবেশ পথেই ডিজিটাল স্ক্রিনে অডিও-ভিজ্যুয়াল আর বিলবোর্ডে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হার না মানা পথ-পরিক্রমার অংশবিশেষ তুলে ধরা হয়।
অডিও-ভিজ্যুয়ালে উঠে আসে বহু বাধার মুখেও বিগত দিনে পাঠক-দর্শকদের ভরসা জায়গা হয়ে ‘সবার আগে সঠিক সংবাদ’ দেওয়ার যাত্রা।
বিলবোর্ডের উপস্থাপনায় উঠে আসে ২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর ডিজিটাল মাধ্যমে প্রথম সংবাদ সেবা থেকে শুরু করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনেক প্রথমের জন্ম দেওয়ার সচিত্র ঘটনা বলি।
২০০৭ সালে মোবাইল ফোনে দেশের প্রথম অ্যালার্ট সার্ভিস থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রথম বাংলা ওয়্যাপ সাইট চালু, নাগরিক সাংবাদিকতার প্রথম বাংলাদেশি সাইট, শিশুদের জন্য প্রথম সাংবাদিকতার ওয়েবসাইট, বাংলায় খবরের প্রথম এসএমএস সার্ভিস রয়েছে এই তালিকায়।
তুলে ধরা হয় কেবল সংবাদ প্রকাশের কারণে কীভাবে বহু বার বহু অজুহাতে ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছিল; চেষ্টা করা হয়েছিল সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধের।
ডিজিটাল বিলবোর্ডের উপস্থাপনায় উঠে আসে ২০১৯ সালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বিনিয়োগের খবরের পর দুদকের মামলা আর নানা হয়রানির চিত্র।
ওই বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ দুদক করেছে, সেটাকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা’ হিসাবে অভিহিত করে আসছিলেন বিডিনিউজে টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
এর মধ্যে ২০২১ সালে পূর্বে প্রকাশিত খবর ওয়েবসাইট থেকে সরানোর দাবি নিয়ে আসে প্রভাবশালী একটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী। তাদের কাছে মাথানত না করায় ‘মিথ্যা অভিযোগে’ জেলায় জেলায় মামলার আশ্রয় নেয় ওই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠরা।
বাংলাদেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের প্রধান সম্পাদক তৌফিক খালিদীর বিরুদ্ধে দুদক মামলা প্রত্যাহার করে নিলে ধারাবাহিক সেই হয়রানির আপাত অবসান হওয়ার চিত্র উঠে আসে উপস্থাপনায়।
আরও পড়ুন