অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সম্পৃক্ততার জন্য বিদেশিদের দোষারোপ না করে নিজেদের আত্ম-অনুসন্ধানের পরামর্শ দিচ্ছেন সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব।
Published : 06 Aug 2023, 11:04 PM
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পশ্চিমা তৎপরতার মধ্যে বড় প্রতিবেশী ভারতও নীরবতা ভেঙেছে, আর তার যৌক্তিক কারণও দেখছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন।
তার মতে, বাংলাদেশের ক্ষমতায় ভারত বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগকেই চাইবে, আর তার ‘কারণও স্পষ্ট’।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গত সপ্তাহে বলেছেন, নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায়, তা বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে।
এদিকে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি বাস্তবায়নে ভারত সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বাংলাদেশের সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট (সেপা) দ্রুত সময়ে চূড়ান্ত করতে এবং ভারতের ঋণে বাংলাদেশে নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সময়মত শেষ করারও সুপারিশ করেছে।
এটা কি কেবলই ভোটের আগে একটি ইতিবাচক বার্তা? তিস্তার জট এবার খুলবে?
একসময় কলকাতা মিশনে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের দায়িত্ব সামলে আসা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমার মনে হয় না আগামী পাঁচ মাসের মধ্যেই (তিস্তা এবং অন্য সুপারিশগুলোর) কোনো ফল চলে আসবে। যদি কোনো ফল আসে, তাহলে সেটা বর্তমান সরকারের জন্য ইতিবাচক হবে।
“আর ভারত ইতিবাচক একটা আবহ দেখানোর জন্য এমন কিছু কাজ করতেই পারে, যাতে (বাংলাদেশের) ক্ষমতায় যে দল আছে, তাদের পছন্দের দল, বিএনপির চেয়ে তারা আওয়ামী লীগকেই চায়, আর তার প্রত্যক্ষ কারণও আছে, সেজন্য আপনি তাদের দোষ দিতে পারেন না… তারা হয়ত ভাবতে পারে এটা আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাবনাকে কিছুটা এগিয়ে দেবে। এটা সম্ভব।”
কূটনৈতিক জীবনে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা তৌহিদ হোসেন রোববার অতিথি হয়ে এসেছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোচনা অনুষ্ঠান ইনসাইড আউটে।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে আগামী নির্বাচন ঘিরে বিদেশিদের অবস্থান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, ভারত-চীনের সঙ্গে সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপথ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয় ইনসাইড আউটের পর্বটি।
‘ভারতের জন্য ভালো’
‘বাংলাদেশের নির্বাচন কীভাবে হবে, তা এখানকার জনগণই ঠিক করবে’- ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচির এমন বক্তব্যই যে তাদের সত্যিকারের অবস্থান, তা নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, সবসময় আমাদের সরকারের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগে রয়েছে। এ অবস্থান আগেও ছিল এবং এখনো আছে। সম্ভবত এখন তারা ভেবেছে যে এটা এখন প্রকাশ্যে তুলে ধরা দরকার। সে কারণে এটা এভাবে গড়িয়েছে।
“যে কথা প্রকাশ্যে বলা হয়েছে, সবসময় এমন না যে সেটা বাস্তবিক অবস্থানের প্রতিফলন। আমার বিবেচনা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকার অব্যাহত থাকাটা ভারতের জন্য ভালো।”
তৌহিদ হোসেন বলেন, “২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারত সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেও ২০১৮ সালের বিষয়ে আমরা অত বেশি জানি না, কারণ প্রকাশ্যে কিছু হয়নি। আমার ধারণা, এখানে যা হচ্ছে, তাতে ভারতের আশির্বাদ রয়েছে। এটা আমার ধারণা, ভুলও হতে পারে।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ‘জনগণের ইচ্ছা’ বলে যে শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন, সেটাকেও ‘অস্পষ্ট পরিভাষা’ হিসাবে বর্ণনা করেন সাবেক এই কূটনীতিক।
তিনি বলেন, “কীভাবে আপনি মানুষের মতকে বিচার করবেন? যে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মানুষের মত বিচারের একমাত্র উপায় হচ্ছে ভোট, যেখানে নিজের ভোট দেওয়ার সুযোগ মানুষের থাকে এবং ভোটটা ফলাফলে প্রতিফলিত হয়।
“যতক্ষণ সেটার অনুশীলন করা না হবে, তখন পর্যন্ত আপনি বলতে পারবেন না মানুষের মতটা কী। আমার মনে হয়, তারা বাস্তবিকভাবে কী বলতে চায় তার বিপরীতে এটা জেনেরিক টার্ম।”
ভারতের সব উদ্বেগের প্রশমন বাংলাদেশ সরকার করলেও ভারত সেভাবে ‘প্রয়োজন মেটায়নি’ মন্তব্য করে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “ভারতের বেশিরভাগ উদ্বেগের বিষয়ে বাংলাদেশ উদ্যোগ নিয়েছে। যেটা ভারতের রপ্তানিকে বিকশিত করেছে এবং সেটা আমাদের অর্থনীতিন জন্য খারাপ কিছু নয়।
“ভারত আমাদের প্রয়োজনগুলো মেটায়নি, যেভাবে আমরা তাদের নিরাপত্তা ও প্রবেশাধিকারের বিষয়গুলো মিটিয়েছি। আমি দেখতে চাই, বাংলাদেশের উদ্বেগগুলো সমাধানের জন্য ভারত আরও উদ্যোগী হবে, যাতে আমি স্বচ্ছন্দে বলতে পারি, দুপক্ষের জন্যই সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে উন্নতি হয়েছে।”
সুযোগ করে দিয়েছে ভেতরের লোকেরাই
বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে একদফার আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি। তবে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেই দাবি মানতে নারাজ।
এ অবস্থায় ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বেশ তৎপর; বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকা দুই রাজনৈতিক শিবিরের সঙ্গে ঘনঘন বৈঠকও করছেন তারা।
অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সম্পৃক্ততার জন্য বিদেশিদের দোষারোপ না করে নিজেদের আত্ম-অনুসন্ধানের পরামর্শ দিচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “বিদেশিদের দোষারোপের প্রশ্নে আমার মন্তব্য হচ্ছে, আমরা ভেতরের লোকেরাই তাদের আসার সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা আমাদের ঘরের ব্যবস্থাপনা করতে পারিনি। সুতরাং প্রতিবেশীর আসার সুযোগ হয়েছে।”
রাজনৈতিক দলগুলো যেন ‘শান্তিপূর্ণ ও আসল’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এক বিন্দুতে পৌঁছাতে পারে, সেই আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি জানি না কে ছাড় দেবে, আমি জানি না কে কতটা দেবে; কিন্তু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেওয়া-নেওয়া থাকতে হবে।
“বর্তমানে যে ব্যবস্থাপনা আছে, সেটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেয় না। এটা ইতোমধ্যে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুবার প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং মাঝামাঝি কিছু একটা করতেই হবে। এটা কীভাবে হবে, আমি জানি না।”
ভারত-চীন ভারসাম্য
ভারত কেবল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী নয়, সবচেয়ে বড় অংশীদারও বটে। আবার বিগত বছরগুলোতে সঙ্গত কারণেই চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন অবস্থানের সমালোচনাও করেছে চীন।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, “সরকার ভারত ও চীনের সঙ্গে যৌক্তিকভাবে ভালো ভারসাম্য রক্ষা করতে পেরেছে। ভারত-চীনের সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘাত হয়, বাংলাদেশ কারও পক্ষ নেয়নি।
“ভারত কিংবা চীন কারও বক্তব্যকে সমর্থন করেনি। এক্ষেত্রে আমাদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। এটাই ঠিক ছিল বলে আমি মনে করি, অন্তত বর্তমান প্রেক্ষাপটে।”
বিজিপির আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদলের ভারত থেকে নির্বাচনের বিষয়ে বার্তা পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এসব সফরে কিছু হবে না। যদি দুপক্ষের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে সেটা নীরব কূটনীতির পথেই হবে।”
আওয়ামী লীগের তিন শরিক দলের নেতারা চীন সফরে গিয়ে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে দেশটির সহযোগিতা চেয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, “এটা কিছুটা বিপরীতমুখী অবস্থান। একদিকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সরকার অসন্তোষ প্রকাশ করছে, যে সময় তাদের শরিকরা একটা দেশে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষে সমর্থন চাওয়ার জন্য।
“কোনো বিদেশি দেশের উচিত আমাদের দেশের পক্ষে দাঁড়ানো, একটা দলকে ক্ষমতায় রাখার জন্য আমাদের বলা উচিত না। তবে, এটা খুব তাত্ত্বিক বিষয়। বাস্তবতা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম অগ্রাধিকার হল ক্ষমতা অব্যাহত রাখা অথবা ক্ষমতায় যাওয়া। সেভাবে তারা প্রচেষ্টাগুলোকে কাজে লাগায়। আমি মনে করি, এটা তারই অংশ।”
বিদেশি চাপ মোকাবেলার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যখন নির্বাচনে জেতার জন্য সব ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে থাকে, তখন অন্য সব কিছুর গুরুত্ব কমে আসে।
“এই পাঁচ মাসে সরকার এসব চাপ মোকাবেলা করে জয় নিশ্চিতের জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী কতটা এগোতে পারবে, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের চাপ কতটা মোকাবেলা করতে পারবে এবং তার সঙ্গে খাপখাওয়াতে পারে, সেটাই নির্ধারণ করবে শেষ ফল।”
জাতিসংঘ কী করতে পারে
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা কেউ কেউ বললেও এ ধরনের কোনো কিছু হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করছেন সাবেক এই কূটনীতিক।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা হবে না। কারণ, জাতিসংঘ যখন কোনো নির্বাচন পরিচালনা করে, তার জন্য জাতিসংঘের অনুমোদন লাগে। এ ধরনের কোনো কার্যক্রম চীন ও রাশিয়ার অবস্থানের কারণে হবে না।
“জাতিসংঘ চাপ প্রয়োগ করতে পারে। জাতিসংঘ বাংলাদেশে এসে নির্বাচন পরিচালনা করবে, এমন কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না।”
সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কোথাও গৃহযুদ্ধ চললে বা কোনো দেশের সরকারের পক্ষ থেকে ‘সুস্পষ্ট অনুরোধ’ পেলেই কেবল নির্বাচন আয়োজন করে জাতিসংঘ।
যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ যখন মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছে, সেটা তাদের আইন-কানুনের বাধ্যবাধকতার কারণে করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও নীতি হচ্ছে বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে, তা উচ্চকণ্ঠ হবে। আর বিভিন্ন কনভেনশন অনুমোদনের মাধ্যমে দেশগুলো জাতিসংঘকে এই বিষয়ে অবস্থান প্রকাশের অধিকার দিয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট
তৌহিদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান সহসা শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না।
“পশ্চিমাদের সহযোগিতা কমে আসছে, যেটা স্বাভাবিকই বলতে হবে। কেননা, বিশ্বে প্রতিনিয়ত নানা কিছু ঘটতে থাকে। একটা সংকট আরেকটাকে ঢেকে দেয়। রোহিঙ্গা সংকট ছয় বছর আগের। এখন এসেছে সংকট এসেছে ইউক্রেইন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায়। সুতরাং নতুন বিষয় যখন সামনে আসে, আমরা আগেরটা ভুলে যেতে অভ্যস্ত এবং সেটাই এখানে ঘটছে।”
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি ‘জীবিত’ রাখার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতার যে কোনো সুযোগকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।
তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিলেও চীনের কাছে বন্ধুত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশের চেয়ে মিয়ানমারের অগ্রাধিকার বেশি।
“বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের দিকে যেতে, এমনকি পশ্চিমপ্রান্ত দিয়ে যোগাযোগের জন্য মিয়ানমার তাদের (চীনের) জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে তাদের জন্য মাত্র একটাই জায়গা আছে, সেটা হলো মালাক্কা প্রণালী।
“বদ্ধ সেই জায়গায় মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের অবস্থান। প্রায় সবাই যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু। তাহলে বড় সংঘাতের সময়ে কী হবে? যুক্তরাষ্ট্র যদি চায়, তাহলে তারা চীনের জাহাজ বন্ধ করে দিতে পারবে।”
তিনি বলেন, “কেবল মিয়ানমারের সহায়তায় এই সংকট উৎরাতে পারবে চীন। কারণ, এর সঙ্গে তাদের সীমান্ত রয়েছে এবং ইতোমধ্যে রাখাইনে একটি বন্দরও নির্মাণ করেছে। সড়ক যোগাযোগ রয়েছে, রেল যোগাযোগের কাজ চলছে।
“মিয়ানমার ও বাংলাদেশ দুটোই চীনের বন্ধু। কিন্তু যদি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে বেছে নিতে হয়, তাহলে তাত্ত্বিকভাবে মিয়ানমারকে নিতে হবে তাদেরকে।”