বাগেরহাটে ব্যাংক থেকে ব্যাংকে সরবরাহ করা এক হাজার টাকার বান্ডিলে একশ টাকার নোট পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Published : 12 Jul 2015, 08:36 PM
রোববার সোনালী ব্যাংকের বাগেরহাটের আঞ্চলিক শাখা থেকে রূপালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখাকে সরবরাহ করা টাকায় এই গড়মিল ধরা পড়ার অভিযোগ করেন রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তারা।
রূপালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখার ব্যবস্থাপক এস.এম. হাবিবুর রহমান বলেন, “সোনালী ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিকল্পিতভাবে রোববারের এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।”
অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, “তারা (রূপালী ব্যাংক) সকাল ১১টার দিকে টাকা নিয়ে গেছে। আমার কাছে অভিযোগ করেছে পৌনে ১টার দিকে।
“বিষয়টি আসলে কী হয়েছে তা আমরা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছি।”
ঘটনার বিবরণ দিয়ে শহরের রাহাতের মোড়ে অবস্থিত রূপালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখার কনিষ্ঠ কর্মকর্তা (ক্যাশ) আব্দুল কাদের জানান, রোববার শিক্ষকদের বেতন-বোনাস প্রদানের জন্য ব্যাংকে বড় ধরনের টাকার চাহিদা তৈরি হয়।
সকাল ১১টার দিকে তিনি তার শাখার জন্য পঞ্চাশ লাখ টাকা আনতে শহরের রেলরোডে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ে যান।
সেখান থেকে তাকে দেওয়া পঞ্চাশ লাখ টাকা নিয়ে তিনি ও ব্যাংকের প্রহরী আব্দুস সাত্তার সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ব্যাংকে ফেরেন।
ক্যাশে টাকা বের করে গোনার সময় হাজার টাকার নোটের বাণ্ডিলে বেশকিছু একশত টাকার নোট পাওয়া যায়।
এ ধরনের একশত টাকার মোট ১১৮টি নোট পাওয়া যায়। এর ফলে এক লাখ ছয় হাজার ২০০ টাকা ঘাটতি পড়ে।
এই ঘটনার পর তিনি শাখা ব্যবস্থাপক এস. এম. হাবিবুর রহমানকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত আবার টাকার প্যাকেটসহ সোনালী ব্যাংকে ফিরে যান।
রূপালী ব্যাংকের ওই শাখার ক্যাশ অফিসার শাম্মী ফারহানা বলেন, সোনালী ব্যাংক থেকে আনা টাকার বাণ্ডিল গুনতে গিয়ে তার চোখে ওই অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে। টাকার বাণ্ডিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাণ্ড ও ক্যাশ লেবেল লাগানো ছিল।
সোনালী ব্যাংকের জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশুতোষ মণ্ডল বলেন, “এই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসেছে। সমস্যাটি কোন্ পর্যায়ে হয়েছে তা আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
“বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সোমবার এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”